শেয়ার বিজ ডেস্ক: সিরিয়ার পূর্বে চালানো যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর জন্য একটা বার্তা ছিল বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। খবর: রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা আন্ডার সেক্রেটারি কলিন কাহল সাংবাদিকদের বলেন, ইরানের আধা সামারিক বিপ্লবী গার্ড-সমর্থিত স্থাপনাগুলোয় বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এটি প্রমাণ করে যে ইরান ও ইরানসমর্থিত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে রক্ষায় দ্বিধা করবে না।
পেন্টাগন আরও বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা অভিযানের সময় ১০টি রকেট উৎক্ষেপণ অস্ত্র ধ্বংস করে দেয়। পূর্ব সিরিয়ায় একটি গোলাবারুদের ডিপো ও ইরানের বিপ্লবী গার্ড কোরের সঙ্গে যুক্ত গ্রুপগুলোর ব্যবহƒত অন্যান্য স্থাপনা লক্ষ করে বিমান হামলা চালায়।
সিরিয়ার আল-তানফ গ্যারিসে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হামলার জবাবেই অভিযান চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, সিরিয়ার দেইর এল-জোরে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের এক সদস্য আহত হন। এর জেরে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় চার সশস্ত্র যোদ্ধা নিহত হয়েছে। পাশাপাশি সাতটি রকেট লঞ্চার ধ্বংস করা হয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কান্নানি এক বিবৃতিতে নিন্দা জানিয়ে বলেন, সিরিয়ার বেসামরিক স্থাপনা এবং লোকজনকে লক্ষ করেই হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীকে লক্ষ করে হামলার সঙ্গে ইরানের সম্পৃক্ততার বিষয়টিও পুরোপুরি অস্বীকার করেন তিনি।
এদিকে সিরিয়ায় অবস্থানরত রুশ বাহিনী জানিয়েছে, দেশটির একটি গবেষণা স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইসরাইলের বিমানবাহিনী।
বৃহস্পতিবার চারটি ইসরাইলি জঙ্গি বিমান সিরিয়ার মাসিয়াফ শহরের ওই গবেষণাগারটিতে মোট চারটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ১৬টি নিয়ন্ত্রিত এরিয়াল বোমা নিক্ষেপ করে বলে শুক্রবার জানায় তারা।
রাশিয়ার এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা তাস জানায়, সিরিয়ার সেনারা রাশিয়ার তৈরি বিমানবিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহার করে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র এবং সাতটি নিয়ন্ত্রিত বোমা ধ্বংস করেছে। হামলায় স্থাপনাটির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার বাহিনীগুলো ২০১৫ সাল থেকে সিরিয়ার অবস্থান করছে। তারা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের গতিপথ প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পক্ষে ঘুরিয়ে দিতে সাহায্য করেছে।
কয়েক বছর ধরে ইসরাইল প্রতিবেশী সিরিয়ার বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়ে আসছে। এসব স্থাপনাকে ইরানের সঙ্গে সম্পর্কিত লক্ষ্যস্থল বলে বর্ণনা করে আসছে তারা। প্রেসিডেন্ট আসাদের পক্ষ হয়ে সিরিয়ার সরকারবিরোধী বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করতে দেশটিতে লেবাননের হিজবুল্লাহসহ ইরান-সমর্থিত বেশ কিছু বাহিনী মোতয়েন করা আছে।