শেয়ার বিজ ডেস্ক:ইরানের সঙ্গে গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প বাতিল করার পদক্ষেপ নিয়েছে পাকিস্তান। এজন্য একটি নোটিশ জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ইসলামাবাদের নিয়ন্ত্রণে না থাকা ইস্যুর কারণে বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিতব্য ইরান-পাকিস্তান (আইপি) গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প বাতিল করা হচ্ছে। খবর: ডন।
মূলত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করার হুমকির প্রেক্ষাপটে ইরানের সঙ্গে এই গুরুত্বপূর্ণ গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণের প্রকল্প বাতিল করেছে পাকিস্তান। এ প্রকল্পটি নিয়ে কয়েক দশক ধরে আলোচনা চলছিল।
পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডনের খবরে বলা হয়েছে, দেশটির পেট্রোলিয়ামবিষয়ক উপমন্ত্রী ড. মোসাদ্দিক মালিক জাতীয় পরিষদে লিখিতভাবে প্রকল্পটি বাতিল করার কথা জানান।
তিনি জানান, এই পাইপলাইন দিয়ে প্রতিদিন ৭৫০ মিলিয়ন কিউবিক ফুট গ্যাস পাকিস্তানে আসার কথা ছিল।
চলতি বছরের প্রথম দিকে পাকিস্তানকে সতর্ক করে দিয়ে ইরান জানিয়েছিল, প্রকল্পটি ২০৪ সালের মার্চের মধ্যে বাস্তবায়ন করা না হলে তাদের ১৮ বিলিয়ন ডলার জরিমানা দিতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার ইরান পাকিস্তানে প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানির জন্য দীর্ঘ বিলম্বিত এই বিলিয়ন ডলারের পাইপলাইন জরুরিভাবে সম্পন্ন এবং কার্যকর করতে সহায়তা করার জন্য তার প্রস্তুতি ঘোষণা করে। ইসলামাবাদে তিন দিনের সফরকালে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির সঙ্গে প্রতিনিধি পর্যায়ের আলোচনার পর এই প্রকল্প গতি পায়।
এর আগে তেহরান জানায়, তারা জ্বালানির ঘাটতিতে থাকা দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশটিতে ইরানের গ্যাস রপ্তানি করার জন্য সীমান্তের প্রায় ২ হাজার ৭০০ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণ শেষ করেছে এবং প্রকল্পের ইসলামাবাদের অংশ সম্পন্ন করার জন্য অপেক্ষা করছে।
পাকিস্তানের কর্মকর্তারা চলতি বছরের শুরুর দিকে সংসদীয় কমিটির একটি শুনানিতে বলেছিলেন, প্রায় এক দশক আগে স্বাক্ষরিত দেশ দুটির চুক্তি অনুযায়ী, পাকিস্তানকে ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে পাইপলাইনের তার অংশের কাজ শেষ করতে হবে।
এরপর গত মার্চে নগদ অর্থের সংকটে পড়া পাকিস্তান ওয়াশিংটনে একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছিল। প্রতিনিধিদলটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনকে ইসলামাবাদকে পাইপলাইন নির্মাণের অনুমতি দিতে বা প্রত্যাশিত আর্থিক জরিমানা দিতে সহায়তা করার অনুরোধ জানায়। সেই সময় ডন জানায়, ওয়াশিংটন এখনও অনুরোধটি পর্যালোচনা করছে।
মারাত্মক অর্থনৈতিক সঙ্কটে থাকা পাকিস্তানে প্রায়ই লোডশেডিং হয়ে থাকে। কোনো কোনো সময় দিনে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হয়।