Print Date & Time : 6 July 2025 Sunday 10:03 pm

ইশারা ভাষায় গ্রাহকসেবা সম্মাননা পেল গ্রামীণফোন

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাক ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ইশারা ভাষায় গ্রাহকসেবার জন্য সম্মাননা স্মারক পেল দেশের টেলিকম অপারেটর গ্রামীণফোন। ‘সাইনলাইন’ সেবার মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক টেলিকম সেবা নিশ্চিত করে ‘রিকগনিশন ফর অ্যাকসেসিবল সার্ভিস’ ক্যাটেগরিতে সম্মাননা পেল কোম্পানিটি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) অডিটোরিয়ামে গ্লোবাল অ্যাকসেসিবিলিটি অ্যাওয়ারনেস ডে উপলক্ষে অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রাম, ইউএনডিপি বাংলাদেশ এবং ফ্রেন্ডশিপ (আইএনজিও) আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে এই সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন অপারেটরটির চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার (সিসিএও) তানভীর মোহাম্মদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।বাক ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সহজে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ২০২০ সাল থেকে ‘সাইনলাইন’ সেবা প্রদান করে আসছে গ্রামীণফোন। এই সেবার মাধ্যমে বাক ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা ভিডিও কলের মাধ্যমে গ্রাহকসেবা গ্রহণ করতে পারেন। কার্যকর সহায়তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গ্রামীণফোন এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারের সব এজেন্ট ইশারা ভাষায় প্রাথমিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। টেলিকম অপারেটর হিসেবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই ধরনের সেবা বাংলাদেশে গ্রামীণফোনই প্রথম চালু করে, যা একটি কার্যকর ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল ভবিষ্যৎ গড়ে তোলায় বিশেষ ভূমিকা রাখছে।
এ বছর ‘সাইনলাইন’ সেবা থেকে গ্রামীণফোনের সেবা ছাড়াও অনন্যা নিত্যপ্রয়োজনীয় সেবা গ্রহণ করা যাচ্ছে।

এই অর্জন প্রসঙ্গে গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার (সিসিএও) তানভীর মোহাম্মদ বলেন, ‘সাইনলাইন সেবার জন্য সম্মাননা পাওয়ায় গর্বিত গ্রামীণফোন। আমরা বিশ্বাস করি, ডিজিটাল দুনিয়া সবার। ২০২০ সালে চালুর পর থেকে সাইনলাইন শুধু বাক ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্যই নয়, বরং সহজলভ্য যোগাযোগের প্রয়োজনে থাকা সবাইকেই প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করে। এটুআই প্রোগ্রাম, ইউএনডিপি বাংলাদেশ এবং ফ্রেন্ডশিপ (আইএনজিও) আয়োজিত এই সম্মাননা আমাদের ভবিষ্যতে বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের নিয়ে আরও কাজ করতে অনুপ্রাণিত করবে।’

সারা বিশ্বে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল অভিগম্যতার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছর গ্লোবাল অ্যাকসেসিবিলিটি অ্যাওয়ারনেস ডে উদ্যাপন করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিবসটি ২০১২ সালের মে মাস থেকে উদ্যাপন শুরু হয় এবং প্রতিবছর মে মাসের তৃতীয় বৃহস্পতিবার দিবসটি পালিত হয়। দিবসটির মূল উদ্দেশ্য হলো অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল প্রযুক্তি (যেমন: ওয়েবসাইট, সফটওয়্যার, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন প্রভৃতি) সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা।