Print Date & Time : 14 September 2025 Sunday 8:38 am

ইসরাইলি পুলিশেরই উনিফর্ম তৈরি করবে না ভারতের কোম্পানি

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইসরাইলের আগ্রাসন ঠেকাতে দেশটিকে বয়কটের ডাক দিয়েছে ইরান। তবে অনেকটা নীরব ভূমিকা পালন করছেন মুসলিম বিশ্বের নেতারা। কিন্তু সাহসী এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের কেরালার একটি পোশাক তৈরি প্রতিষ্ঠান।

আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে, ইসরাইলি পুলিশকে ইউনিফর্ম সরবরাহ স্থগিত রেখেছে তারা। সেই সঙ্গে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, সহিংসতা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্তে অটল থাকবে।

ভারতীয় শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়,  ইসরাইলি পুলিশের জন্য ভারতের কেরালার পোশাক তৈরির ফার্ম ‘মেরিয়ান অ্যাপারেল প্রাইভেট লিমিটেড’ ইউনিফর্ম তৈরি করবে না বলে জানিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ফিলিস্তিনের গাজায় হাসপাতালে বোমা হামলাকে কেন্দ্র করে ফার্মটি সাময়িক সময়ের জন্য পোশাক সরবরাহ স্থগিতের এ সিদ্ধান্ত নেয়।

প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক থমাস ওলিক্যাল জানান, গাজায় যুদ্ধ বন্ধ না হওয়া অব্দি ইসরাইলি পুলিশ বাহিনীর জন্য আর কোনো নতুন অর্ডার না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠানটি ইসরাইলি পুলিশের জন্য মার্জিত হালকা নীল, লম্বা হাতা ইউনিফর্ম শার্ট তৈরি করে থাকে।

থমাস ওলিক্যাল এক ভিডিও বার্তায় বলেন, আমরা ২০১৫ সাল থেকে ইসরাইলি পুলিশের ইউনিফর্ম তৈরি করে আসছি। হামাসের হামলায় বেসামরিক মানুষ হত্যার বিষয়টি যেমন মানা যায় না, তেমনি ইসরাইলের প্রতিশোধ নেয়ার ধরনও মেনে নেয়া কঠিন।

তিনি বলেন, ২৫ লাখের বেশি মানুষকে খাবার পানি থেকে বঞ্চিত করা, হাসপাতালে বোমা হামলা, নিরীহ নারী ও শিশুদের হত্যাÑএসব মেনে নেয়া যায় না। আমরা চাই যুদ্ধের অবসান হোক এবং শান্তি বজায় থাকুক।

আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী সব চুক্তি মানতে রাজি। তবে যুদ্ধ শেষ না হওয়া এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলেও জানান তিনি।

থমাস ওলিক্যাল বলেন, আমরা সবাইকে যুদ্ধ বন্ধ করার অনুরোধ করছি। আমরা জানি, আমাদের সিদ্ধান্তের কারণে ইসরাইল বাহিনীর ইউনিফর্মের অভাব হবে না। তবে এটি একটি নৈতিক সিদ্ধান্ত।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি বিমান বাহিনী। তাদের এ নির্বিচার হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে শিশুর সংখ্যাই ১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি।

যদিও ইসরাইল দাবি করছে, তারা হামাসের অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। তবে হামাসের যোদ্ধাদের চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন গাজার বেসামরিক মানুষ।