শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইসরাইল এবং মরক্কোর মধ্যে তিনটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকের এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যেই নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতে নতুন পদক্ষেপ হিসেবেই এসব চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরাইল এবং মরক্কো নিজেদের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপনে একমত হয়। খবর: আলজাজিরা।
ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিদের দু’দিনের মরক্কো সফরে গত বুধবার দু’দেশের মধ্যে তিনটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এ সময় মরক্কোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাসের বৌরিতা উপস্থিত ছিলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার দেশ মরক্কো এবং ইসরাইলের মধ্যে বিমানসেবা, সংস্কৃতি, খেলাধুলা এবং তরুণদের নিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রমের বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। দু’দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি রাজনৈতিক পরামর্শ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার বিষয়েও একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছেন তারা।
মরক্কোকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের লোভনীয় প্রস্তাবের কারণেই দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকের চুক্তি সহজ হয়েছে। ওই চুক্তির আওতায় ওয়াশিংটন পশ্চিম সাহারার ওপর মরক্কোর আধিপত্যের স্বীকৃতি দেবে বলে ঘোষণা দেয়। ওই অঞ্চলে স্বাধীনতাকামীদের সঙ্গে মরক্কোর কয়েক দশক ধরে বিরোধ চলছে। মরক্কোর প্রভাব থেকে বেরিয়ে সেখানে আলাদা রাষ্ট্র গড়ার চেষ্টা করছে আলজেরিয়া সমর্থিত পলিসিও ফ্রন্ট।
দু’দেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক তৈরির পর প্রথমবারের মতো ইসরাইলের শীর্ষ কোনো কূটনীতিক মরক্কো সফরে গেলেন। তার এ সফরে গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি মরক্কোর রাজধানী রাবাতে ইসরাইলের কূটনৈতিক মিশনের উদ্বোধন করেন।
বুধবার ইয়ার লাপিদের পাশে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে নাসের বৌরিতা বলেন, অন্য যে কোনো সম্পর্কের চেয়ে ইসরাইলের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভিন্ন। ২০০৩ সালের পর প্রথমবার ইসরাইলের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী মরক্কো সফরে গেলেন।
তবে ইসরাইলের সঙ্গে মরক্কোর সম্পর্ক স্বাভাবিকের বিরোধিতা করেছে ফিলিস্তিন। তাদের দাবি, আরব দেশগুলো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গড়ার বহুদিনের দাবি পূরণ হওয়ার আগে ইসরাইলকে স্বীকৃতি না দেয়ার অবস্থান থেকে সরে গেছে।
এদিকে, ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ এক বিবৃতিতে বলেন, এ চুক্তিগুলো আমাদের দেশ এবং আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য সুযোগ বয়ে আনবে এবং আমাদের দেশগুলোকে নতুনত্বের দিকে নিয়ে যাবে।