শেয়ার বিজ ডেস্ক: বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল ইসরাইল। গত শনিবার দেশটির রাজধানী তেল আবিবের রাজপথ জনসমুদ্রে পরিণত হয়। জেরুজালেমে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে এবং উত্তরাঞ্চলীয় শহর হাইফায়ও বিক্ষোভ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। খবর: আল জাজিরা।
শনিবার বিচার বিভাগকে নতুন করে সংস্কারের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায় ৮০ হাজারের বেশি মানুষ। নেতানিয়াহুর ডানপন্থি জোট সরকারের প্রস্তাবিত পরিকল্পনাকে গণতান্ত্রিক শাসনের ওপর আঘাত বলছেন আন্দোলনকারীরা। সমালোচকরা বলছেন, নেতানিয়াহুর জোট সরকারের এমন সংস্কার বিচারিক স্বাধীনতাকে আরও পঙ্গু করে দেবে, সেই সঙ্গে দুর্নীতিকে উৎসাহিত করবে।
এদিন বিক্ষোভকারীরা তেল আবিবের ব্যস্ত সড়কে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। বেশ কয়েকজনকে আটকের খবর পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি ইসরাইলের বিচার ব্যবস্থায় সংশোধন উšে§াচন করেছেন ইসরাইলের বিচারমন্ত্রী ইয়ারভি লেভিন। কিন্তু এমন পরিকল্পনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আন্দোলনকারীরা বলছেন, সুপ্রিম কোর্টকে দুর্বল করার লক্ষ্যেই এমন পদক্ষেপ নেতানিয়াহুর সরকারের।
গত ডিসেম্বরে নেতানিয়াহুর নতুন জোট সরকার শপথ নেয়ার পর ইসরাইলে এটাই সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। দেশটির বিরোধী দলগুলো গণতন্ত্র বাঁচাতে ও পরিকল্পিত বিচারিক সংস্কারের প্রতিবাদে ইসরাইলিদের সমাবেশে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরের শেষের দিকে ইসরাইলের পার্লামেন্ট নেসেটে নতুন সরকার গঠনের বিষয়টি আস্থা ভোটে পাস হয়ে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন নেতানিয়াহু। আস্থা ভোটে পার্লামেন্টের ১২০ সদস্যের মধ্যে ৬৩ জন নতুন সরকারের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন ৫৪ জন।
নেতানিয়াহুর নতুন সরকারের মন্ত্রিসভায় এমন রাজনীতিবিদও রয়েছেন, যিনি গত বছরের শেষের দিকে কর ফাঁকির কথা স্বীকার করেছিলেন। ৭৩ বছর বয়সী নেতানিয়াহু নিজেও আদালতে দুর্নীতির অভিযোগের বিরুদ্ধে লড়ছেন। এরই মধ্যে তিনি ইসরাইলের ইতিহাসে অন্য যে কারও চেয়ে বেশি সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের ইতিহাস গড়েছেন। নেতানিয়াহু এর আগে ১৯৯৬ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল এবং ২০০৯ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তিনি তৃতীয় মেয়াদে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।