শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইসরায়েলের আগ্রাসনে গাজার জনসংখ্যা ৬ শতাংশ কমেছে। সরকারি পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ফিলিস্তিনি কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর (পিসিবিএস) প্রধান ওলা আওয়াদ বলেন, অঞ্চলটির জনসংখ্যা ২১ লাখে নেমে এসেছে। এইসংখ্যা ২০২৩ সালের তুলনায় ১ লাখ ৬০ হাজার জন কম। খবর: আনাদোলু এজেন্সি।
তুরস্কের গণমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ওলা আওয়াদ জানান, গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যামূলক যুদ্ধের ফলে ৪৫ হাজার ৫০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ১ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে পর থেকে গাজা ত্যাগ করেছেন। ওলা আওয়াদ আরও জানান, নিহতদের মধ্যে ১৭ হাজার ৫৮১টি শিশু এবং ১২ হাজার ৪৮ নারী রয়েছেন। এছাড়া প্রায় ১ লাখ ৭ হাজার আহত এবং প্রায় ১১ হাজার জন নিখোঁজ। তবে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৮ হাজার ৪০০ জনের বেশি। নিহতদের মধ্যে শিশু ১৮ হাজার ৮৫৮টি এবং নারী ১১ হাজার ৯৪৬ জন।
পিসিবিএসের অনুমান অনুযায়ী, ফিলিস্তিনিদের মোট জনসংখ্যা প্রায় ১৫ মিলিয়ন, যার মধ্যে গাজা ও পশ্চিম তীরে ৫ দশমিক ৫ মিলিয়ন, ১ দশমিক ৮ মিলিয়ন ইসরায়েলের অভ্যন্তরে এবং বাকিরা বিশ্বে বিভিন্ন দেশে বসবাস করছে। এদেকে ইরানের নিরাপত্তাপ্রধান আলী আকবর আহমাদিয়ান জানিয়েছেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়তে সিরিয়া থেকে নতুন একটি প্রতিরোধগোষ্ঠীর আবির্ভাব ঘটেছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর অভিযানের মুখে ৮ ডিসেম্বর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদ সরকারের পতনের পর এ ঘোষণা দিলেন ইরানের নিরাপত্তাপ্রধান। দুই যুগের বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা আসাদ ছিলেন তেহরানের অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র।
এরই মধ্যে লেবাননের হিজবুল্লাহ ও গাজা উপত্যকার হামাসের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়েছে দেশটি। এতে অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে গোষ্ঠী দুটি। প্রাণ হারিয়েছেন তাদের বেশ কয়েকজন নেতা। এমন পরিস্থিতি ইসরায়েল হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, তাদের ভূখণ্ডে হামলা হলে হামাস ও হিজবুল্লাহর মতো একই পরিণতি হবে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের। যদিও ইসরায়েলের এ হুঁশিয়ারির পরও দেশটিতে হামলা অব্যাহত রেখেছে হুতিরা। হুতিদের প্রতি এ হুঁশিয়ারি দেন জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন। নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া এক ভাষণে গতকাল সোমবার তিনি বলেন, হুতিদের ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বন্ধ করতে হবে। তারা যদি এই হামলা অব্যাহত রাখে, তাহলে হিজবুল্লাহ, হামাস ও সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদের মতো একই ধরনের ‘শোচনীয় পরিণতি’ হবে তাদের।