ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ৩৪৫৬৮ ফিলিস্তিনি

 

শেয়ার বিজ ডেস্ক: গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে গত এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৫৬৮ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭৭ হাজার ৭৬৫ জন। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। এরপর গাজায় পাল্টা অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। খবর: আল জাজিরা।

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রতিদিন প্রাণ হারাচ্ছে নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। সেখানে দীর্ঘদিনের সংঘাতের কারণে খাদ্য সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে। জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয় বিষয়ক কার্যালয় (ওসিএইচএ) বলেছে, ইসরায়েল গত এপ্রিলে গাজার উত্তরে সহায়তা মিশনের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিয়েছে। তবে ইসরায়েল বরাবরই বিষয়গুলো অস্বীকার করে আসছে।

সংস্থাটি বলছে, নতুন করে সহায়তা কার্যক্রমের অনুমতি দেয়া হলেও ধারাবাহিকতা না থাকলে ছয় মাসের বেশ সময় ধরে চলা এই খাদ্য সংকট নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে না। সেখানে এখন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে ত্রাণ কার্যক্রম আরও বাড়াতে হবে এবং তা চলমান রাখতে হবে।

গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর প্রথমবারের মতো বেইত হানুন (ইরেজ) ক্রসিং খুলে দেয়া হয়েছে। এটি ইসরায়েলের সঙ্গে গাজা উপত্যকার উত্তর দিকের একটি সীমান্ত ক্রসিং। জর্ডান থেকে ওই ক্রসিং দিয়ে ৩১টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে দেয়া হয়েছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি গাজায় যুদ্ধ বন্ধসহ হামাসের সঙ্গে কোনো যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হবেন না। ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের প্রধান ক্যাথরিন রাসেল বলেন, গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার মধ্যে প্রায় অর্ধেক রাফায় আশ্রয় নিয়েছে। এই শহরটিকে এক সময় ‘নিরাপদ স্থান’ বলে ঘোষণা করেছিল ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল অভিযান ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনবে। তাই শহরটিতে আক্রমণ না চালাতে বিশ্ব নেতারা ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

রাফায় হামলার বিষয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র বলেছেন, গাজার দক্ষিণাঞ্চলের বেসামরিক এলাকা থেকে সন্ত্রাসীরা তৎপরতা চালাচ্ছিল, সন্ত্রাসীদের সেসব লক্ষ্যস্থলে যুদ্ধবিমানগুলো আঘাত হেনেছে। তিনি আর বিস্তারিত কিছু জানাননি।

এদিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু করতে হামাস নেতারা কায়রো সফর করেছেন। রাফায় হামলার কয়েক ঘণ্টা পর মিশরের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন জানায়, হামাসের প্রতিনিধিদল দোহার উদ্দেশে কায়রো ছেড়েছেন, তারা তাদের দেয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে পরে কোনো এক তারিখে লিখিত জবাব দেবেন।