ইসলামিক ব্যাংকিং ও বাংলাদেশের অর্থনীতি

আবুল কাসেম হায়দার: ইসলামিক ব্যাংকিং নতুন ধারার নতুন ব্যাংকিং খাত। কয়েক দশ ধরে ইসলামিক ব্যাংকিং বাংলাদেশের মানুষের কাছে অগ্রহণযোগ্য খাত হিসেবে চিহ্নিত। ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের জনপ্রিয়তার কারণে অনেক সুদভিত্তিক ব্যাংক ইসলামিক ব্যাংকে রূপান্তরিত হয়েছে। অনেকে ইসলামিক ব্যাংকিং শাখা খুলে বেশ ভালো বাণিজ্য করে যাচ্ছে।

ইসলামিক ব্যাংকিং এবং এর ইতিহাস অনেক পুরোনো, দীর্ঘ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আজ ইসলামিক ব্যাংকিং বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। পবিত্র কোরআনে বলেছেন

সুদখোর হচ্ছে সেই ব্যক্তির মতো; যাকে শয়তান তার স্পর্শ দ্বারা জ্ঞানহীন করে দিয়েছে। কারণ তারা বলে, বেচাকেনা তো সুদের মতোই কারবার। অথচ আল্লাহতায়ালা ব্যবসাকে হালাল করেছেন এবং সুদকে হারাম করেছেন। তাই যার কাছে তার রবের পক্ষ থেকে এ নির্দেশ এসেছে এবং সে বিরত রয়েছে, তাহলে অতীত যা হয়েছে তা তারই, তার বিষয় আল্লাহর এখতিয়ারধীন। (সুরা বাকারা: ২৭৫)।

ব্যাংক ব্যবস্থায় সুদের সমারোহ। সুদ ছাড়া ব্যাংকিং ব্যবস্থা কেউ এক সময় চিন্তাও করতে পারত না। সুদের লেনদেন ব্যাংকে হয়ে থাকে। তাই এই সুদ সম্পর্কে আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) বলেছেনÑ

‘হজরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সা. সুদদাতা, সুদগ্রহীতা, সুদের চুক্তিপত্রের লেখক ও  সাক্ষী সবার ওপর অভিসম্পাত করেছেন এবং বলেছেন, এরা সকলে সমান অপরাধী। (সহিহ বুখারি, হাদিস নং ৫৯৬২)।

পবিত্র কোরআন ও হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশে দেশে সুদবিহীন ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের প্রসার হয়েছে। আমাদের দেশেও ১৯৮৩ সালের ১৩ মার্চ ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড একই আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে তার যাত্রা শুরু করে। অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে এতদিন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড শরিয়াভিত্তিক সুদবিহীন ব্যাংকের আদর্শ প্রতিষ্ঠা করে। ইসলামী ব্যাংকের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আর দশটি ব্যাংক ইসলামিক ধারায় ব্যাংকিং ব্যবসা চালিয়ে আসছে। জনগণের চাহিদা অনুযায়ী অনেক সুদী ব্যাংক ইসলামিক ব্যাংকিং শাখা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবসা চালু করেছে।  বেশ ভালোই করে আসছিল।

সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের একটি বিনিয়োগের দুঃসংবাদ পরিবেশনের পর পরই বাংলাদেশে ইসলামিক ব্যাংকসমূহে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। প্রায় সব ইসলামিক ব্যাংক ও ইসলামিক অ-আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রাহকগণ আতঙ্কে অর্থ উত্তোলন করে সরিয়ে নিতে শুরু করে। এরি মধ্যে করোনা পরিস্থিতি এবং পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে ব্যাংকিং খাতে কঠিন সময় নেমে আসে। 

কখন ইসলামিক ধারার ব্যাংকে আতঙ্ক : দেশের ইসলামিক ধারার ব্যাংকগুলোর আমানত প্রতি মাসে গড়ে ১০০ কোটি টাকা কমছে। অপরদিকে গ্রাহকরা বিদেশি ব্যাংকে আমানত রাখার পরিমাণ বাড়িয়েছে।

দেশে পরিচালিত বিদেশি ব্যাংকগুলোতে চলতি বছরের মার্চ প্রান্তিকে ৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ আমানত বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের ত্রৈমাসিক তপসিলি ব্যাংকের সর্বশেষ প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের প্রথম তিন মাস (জানুয়ারি-মার্চ) শেষে দেশের ইসলামিক ধারার ব্যাংকগুলোর আমানতের প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক দশমিক ০৯ শতাংশ। মার্চ প্রান্তিকে ইসলামিক ব্যাংকগুলোর আমানত হয়েছে ৩ লাখ ৫৫ হাজার ২০৬ কোটি টাকা। ডিসেম্বর প্রান্তিকে যার পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগের প্রান্তিকের তুলনায় এসব ব্যাংকের আমানত কমেছে ৩০৭ কোটি টাকা।

ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, দেশের বেসরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো আমানতে সুদের হার বেশি দেয়। সেই তুলনায় বিদেশি ব্যাংকগুলো আমানতে কম সুদ দেয়। এরপরেও দেশীয় ব্যাংকের তুলনায় বিদেশি ব্যাংকে আমানতের পরিমাণ বাড়ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, সম্প্রতি বেশকিছু রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাংকের ঋণ অনিয়মের তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। এর ফলে দেশীয় ব্যাংকে অনেক গ্রাহকের আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। তাই তারা বিদেশি ব্যাংকগুলোয় আমানত রাখছে।

এদিকে মার্চ প্রান্তিকে ৯টি বিদেশি ব্যাংক ৭৮ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা আমানত পেয়েছে। এর আগের তিন মাসে এর পরিমাণ ছিল ৭৩ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগের প্রান্তিকের চেয়ে মার্চে বিদেশি ব্যাংকে আমানত বেড়েছে ৪ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা বিদেশি ব্যাংকগুলোর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আমানত প্রবৃদ্ধি পেয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয়। জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোতে আমানতের পরিমাণ ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪ লাখ ৬ হাজার ৮৫২ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

এছাড়া আমানত প্রবৃদ্ধির তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে দেশের বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। মার্চ প্রান্তিকে এসব ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ ১ দশমিক ৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১০ লাখ ৮৩ হাজার ৬৪৮ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোতে আমানত কমার বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছেন অর্থনীতিবিদরা। নানা কারণে গ্রাহকরা আস্থা হারিয়ে ফেলছে। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বিদেশি ব্যাংকে আস্থা বাড়ছে গ্রাহকদের।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ইসলামিক ব্যাংকগুলোর আমানত প্রবৃদ্ধি ২০২২ সালের মার্চ প্রান্তিকে ছিল নেতিবাচক দশমিক ১৭ শতাংশ। এই প্রান্তিকে আমানত ছিল ৩ লাখ ৪৯ হাজার ১১৩ কোটি টাকা। এরপর জুন প্রান্তিক শেষে ইসলামিক ব্যাংকগুলোর আমানত ছিল ৩ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা। ওই সময়ে আমানতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ। সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে আমানত প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। তবে ডিসেম্বর প্রান্তিকে আমানতের প্রবৃদ্ধি আবারও নেতিবাচক ২ দশমিক ৯০ শতাংশ হয়েছিল। ডিসেম্বর শেষে তাদের আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা। চলতি বছরের মার্চ প্রান্তিকেও ব্যাংকগুলোর আমানত প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক।

পেছনের কারণ কী?

ইসলামি ধারার ব্যাংকে কেন আমানত কমছে, অন্যদিকে বিদেশি সুদভিত্তিক ব্যাংকসমূহে আমানত বাড়ছে কেন? এক সময় বাংলাদেশে ব্যাংক বলতে বুঝাতো ইসলামিক ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। ইসলামিক ব্যাংকের এই জয় জয়কার অবস্থা দেখে বেশ কয়েকটি ব্যাংক ইসলামিক ব্যাংকিংকে রূপান্তরিত হয়ে বেশ ভালো ব্যবসা করছে। কয়েক বছর আগে ইসলামিক ব্যাংকের মালিকানার ব্যাপক পরিবর্তন আসে। নতুন মালিকানায় ইসলামিক ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংক একক একটি গ্রুপের হাতে অর্পিত হয়। নতুন ব্যবস্থাপনা নানা সমস্যা তৈরি হয়। বিনিয়োগ ও অর্থ ব্যবস্থাপনায় বেশ নতুন নতুন সমস্যা তৈরি হয়।

সুশাসন ও কোম্পানি আইন: বাংলাদেশে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে অনেক দিন ধরে সুশাসনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কোম্পানি আইনের নানা ফাঁক-ফোকর দিয়ে অনিয়মের সুযোগ তৈরি হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয় শক্ত হাতে ব্যাংকিং দুর্বলতার পরিচয় দেয়। সেই সুযোগে ব্যাংকিং খাতে অনিয়ম, দুর্নীতির ছায়া বিস্তার ঘটে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর নজরদারির অভাব?

ব্যাংকিং খাতের মূল অভিভাবক বাংলাদেশ ব্যাংক। সরকারি ও বেসরকারি সব ব্যাংক, অ-আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত, পরিচালিত। বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ ব্যাংক ও অ-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে হ্রাস পেয়েছে মনে হয়। তা না হলে কীভাবে অন্যায়ভাবে, নিয়মনীতি না মেনে ব্যাংকগগুলো অর্থ বিনিয়োগ করে কুঋণের পরিমাণ বাড়িয়ে দিল।

রাজনৈতিক প্রভাব: ব্যাংক ও আর্থিক খাতে রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারের সহযোগিতা ও দুর্বল নিয়ন্ত্রণের ফলে বিভিন্ন ব্যাংকে কুঋণ বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় জন্য অন্যতম কারণ। ব্যাংকগুলোকে ব্যাংকিং নিয়মে পেশাধার ব্যক্তিদের মাধ্যমে পরিচালনা করা প্রয়োজন। কুঋণ আদায়ে আইনের স্বচ্ছতা ও প্রয়োগ আরও বেশি দ্রুত করা প্রয়োজন। রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কোনোক্রমেই ব্যাংকের পরিচালক নিয়োগ দেয়া যাবে না।

আস্থার সংকট: এক সময় ইসলামিক ব্যাংকগুলোর প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস ছিল অঢেল। কোনো কিছুই চিন্তা না করে সাধারণ মানুষ আল্লাহ পাকের ভয়ে সুদবিহীন ব্যাংকে অর্থ জমা রাখতো। কিন্তু কিছু ইসলামিক ব্যাংকের কুঋণের নানা খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে ইসলামিক ব্যাংকগুলোর প্রতি আস্থা নষ্ট হয়ে যায়। নানাভাবে গুজব ছড়িয়ে পড়ায় বিনিয়োগকারী সাধারণ মানুষ ইসলামিক ব্যাংকগুলো থেকে জমাকৃত টাকা উঠাতে শুরু করে। এই গুজব এমন শক্তিশালী যে, ভালো কোনো ব্যাংকের প্রতিও মানুষের বিশ্বাস আস্থা নষ্ট হয়ে পড়ে।

এ অবস্থার পরিবর্তনের জন্য ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডসহ অন্যান্য সব ইসলামী ব্যাংক পরিচালনা পরিষদে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে। সুশাসন ও সুনীতি কায়েম করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তদারকি বৃদ্ধি করতে হবে। ব্যক্তি স্বার্থে ব্যাংক যাতে ব্যবহার না হয় সেই দিকে সরকারকে সতর্ক হতে হবে।

ব্যাংকিং আইনে পরিবর্তন : ব্যাংকিং আইনে পরিবর্তন খুবই জরুরি। একই পরিবার থেকে একজনের বেশি পরিচালক থাকা যাবে না এই নিয়ম করা প্রয়োজন। আর একই ব্যক্তি বা একই গ্রুপ কর্তৃক একাধিক ব্যাংক পরিচালনার বিধান পরিবর্তন করা প্রয়োজন অনেক বেশি। আর্থিক খাতের নিরাপত্তা আনতে হলে স্বজনপ্রীতি, রাজনৈতিক লগ্নিতা পরিহার করতে হবে। তা না হলে ব্যাংকিং খাতে সুস্থ পরিবেশ ফিরে আসবে না। দেশের অর্থনীতি ও ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হবে। বিষয়টি দ্রুত, গুরুত্ব দিয়ে সরকারকে বিবেচনায় নিতে হবে।

ব্যাংক ও অ-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বৈষম্য: বিগত কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অ-আর্থিক খাতের মধ্যে বেশ পার্থক্য নির্ণয় করে দুই রকমের আচরণ করছেন। অথচ বিধান অনুযায়ী ব্যাংক ও অ-আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত লাইসেন্সে পরিচালিত। সরকার কর্তৃক স্বীকৃত। নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক আর্থিক খাতের জন্য যা করবেন ব্যাংকের জন্য ও তাই করবেন। সম্মান সুযোগ দেবেন। তাহলে দেশের অর্থনীতিতে বৈষম্য থাকবে না। উন্নতি নিয়মনীতি অনুযায়ী হবে।

ইসলামি ব্যাংকিংয়ে সুশাসন: ইসলামের মৌলিক ৫ বিষয় কালেমা, নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত। আর আল্লাহপাক সুদকে নিষেধ করে ব্যবসাকে হালাল করেছেন। তাই ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের জš§। কিন্তু নিজের চরিত্রের মধ্যে ইসলামের মৌলিক বিষয় ধারণ, আমল না করে শুধু অর্থ উপার্জনের জন্য ইসলামিক ব্যাংকিং বাণিজ্য করার জন্য ইসলাম উৎসাহিত করে না। নৈতিকতা, সততা ইসলামের মৌলিক বিষয়। আল্লাহপাককে সব সময় ভয় করা ইসলামের মূল শিক্ষা। অন্যায়, অবিচার, অনিয়ম, দুর্নীতি ইসলামে সব সময় নিষিদ্ধ। তাই ইসলামিক ব্যাংকিংয়ে এসব পরিহার করে নিজকে সংযত রাখতে হবে।

ইসলামি ব্যাংকগুলোয় শরিয়া কাউন্সিল রয়েছে। এসব শরিয়া কাউন্সিলকে আরও বেশি উদ্যোগী ও কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে।

ইসলামি ব্যাংকগুলোর উন্নতি ছাড়া দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি সম্ভব নয়। দেশের বৃহত্তর অর্থনীতির ভূমিকায় রয়েছে ইসলামিক ব্যাংকগুলো। সরকারকে তাই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে সুবিবেচনায় যেতে হবে।

বাংলাদেশে ইসলামিক ব্যাংকগুলো দেশের বৃহত্তম অর্থনীতি বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে আসছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি এসব ব্যাংকগুলোর উন্নতির ওপর নির্ভর করে। দেশের স্বার্থে আমাদের ইসলামিক ব্যাংকগুলোকে আরও বেশি নীতিগত সহযোগিতা করা প্রয়োজন। ইসলামিক ব্যাংক ব্যাংকগুলোকে সহযোগিতার অর্থ হচ্ছে দেশের মূল অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখা। তাই স্বচ্ছতা ও আইনের শাসনের সুপ্রয়োগের মাধ্যমে এই সাময়িক সংকট কাটিয়ে উঠতে হবে। দেশ ও জাতির স্বার্থে আমরা সবাই উন্নতির এই ধারাবাহিকতার সহযোগিতা করি।

প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লি., অস্ট্রেলিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল  ও  আবুল কাসেম হায়দার মহিলা কলেজ, সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম। aqhaider@youthgroupbd.com