ঈগল ৪৪ ভূগর্ভস্থ বিমানঘাঁটি উম্মোচন ইরানের

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ঈগল ৪৪ নামে একটি ভূগর্ভস্থ বিমানঘাঁটি উম্মোচন করেছে ইরান। গত মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো এ ঘাঁটির কথা জানায় দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা ইরনা। খবর: রয়টার্স।

এ ঘাঁটিতে যুদ্ধবিমান রাখার মতো জায়গা রয়েছে। ঘাঁটিতে যুদ্ধবিমান ও ড্রোন মজুত ও পরিচালনা করা যাবে। তবে ইরনার প্রতিবেদনে ঘাঁটিটি কোথায় অবস্থিত, তা জানানো হয়নি। ঘাঁটিটি পাহাড়ের নিচে নির্মাণ করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

এ ঘাঁটির প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এটি পাহাড়ের কাছে ও পৃথিবীর গভীরে অবস্থিত। যুদ্ধবিমান ছাড়া এর ভেতর ড্রোন রাখা সম্ভব বলে জানিয়েছে ইরনা। তাদের দাবি, গত কয়েক বছরে ইরানজুড়ে অসংখ্য বিমানঘাঁটি তৈরি করা হয়েছে। মাটির নিচে তৈরিকৃত এ ঘাঁটি সেগুলোরই একটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটি। ভূগর্ভের গভীরে এটি তৈরি করা হয়েছে। এতে রয়েছে দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম যুদ্ধবিমান।

এর আগে ২০২২ সালের মে মাসে ইরানের সেনাবাহিনী আরেকটি ভূগর্ভস্থ ঘাঁটির কথা বলেছিল, যেখানে ড্রোন রাখা হবে। আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইসরাইলের সম্ভাব্য বিমান হামলা থেকে সামরিক সম্পদ রক্ষায় এ ভূগর্ভস্থ ঘাঁটি গড়ে তুলছে ইরান।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত বক্তব্যে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মোহাম্মদ বাঘেরি বলেছেন, ইসরাইলসহ শত্রুদের পক্ষ থেকে ইরানে হামলা হলে আমাদের ঈগল ৪৪-সহ একাধিক বিমানঘাঁটি থেকে জবাব দেয়া হবে।

ইরানের কাছে ১৯৭৯ সালে ইসলামিক বিপ্লবের আগের কিছু মার্কিন যুদ্ধবিমান রয়েছে। এছাড়া তাদের কাছে রাশিয়ার তৈরি মিগ ও সুখোই বিমান রয়েছে। তবে পশ্চিমারা কয়েক দশক ধরে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় এবং রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয় খোলা যন্ত্রাংশ না পাওয়ায় এসব বিমান ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।