নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস গতকাল উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। এদিন পুঁজিবাজারের সব সূচক বেড়েছে। সেইসঙ্গে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। তবে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে উঠে এসেছে পাট খাতের শেয়ার। ফলে আলোচিত খাতটিতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। এর আগের কার্যদিবসেও দর বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল খাতটি। এরপর দর বৃদ্ধির দিক থেকে গতকাল দ্বিতীয় স্থানে ছিল কাগজ ও মুদ্রণ খাত। গতকাল শেয়ারদর বৃদ্ধির দিক থেকে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে যথাক্রমে ছিল সেবা ও আবাসন এবং আইটি খাত। এছাড়া গতকাল শুধু ট্যানারি ও সিরামিক খাতের শেয়ারদর কমেছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল আগ্রহ বেশি থাকা পাট খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট তিনটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে দুটি কোম্পানির এবং একটি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা কাগজ খাতে গতকাল দর বেড়েছে ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। খাতটিতে গতকাল মোট ছয়টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটির শেয়ারদর বেড়েছে এবং একটি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল।
গতকাল দর বৃদ্ধির দিক থেকে তৃতীয় স্থানে থাকা সেবা খাতে ১ দশমিক ৯০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। আলোচ্য খাতে গতকাল চারটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে তিনটির দর বেড়েছে এবং একটির দর অপরিবর্তিত ছিল। ১ দশমিক ৮০ শতাংশ দর বৃদ্ধি নিয়ে গতকাল চতুর্থ স্থানে ছিল আইটি খাতের শেয়ার। খাতটিতে গতকাল মোট ১১টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৯টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে এবং দুটি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল।
অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে। খাতটিতে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৭ দশমিক ২০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইটি খাতে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ লেনদেন হওয়া কাগজ খাত রয়েছে তৃতীয় স্থানে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৭ দশমিক ৪০ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ২৬৬ দশমিক ৯৫ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ্ সূচক ৮ দশমিক ২৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৬০ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৮ দশমিক ০৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৩৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৭২ দশমিক ৩৪ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ২১৩ দশমিক ৪৪ পয়েন্টে।
ডিএসইতে গতকাল ৫৬৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের কার্যদিবস থেকে ১৫৪ কোটি পাঁচ লাখ টাকা বেশি। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৪১৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকার। গতকাল ডিএসইতে ৩৫৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে ৭৪টির বা ২০ দশমিক ৭৯ শতাংশের, শেয়ারদর কমেছে ১৭টির বা ৪ দশমিক ৭৭ শতাংশের এবং ২৬৫টির বা ৭৪ দশমিক ৪৪ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত রয়েছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৮৬ দশমিক ৫২ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪৫৮ দশমিক ২৫ পয়েন্টে। সিএসইতে গতকাল ১৪২টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৩টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৭টির আর ৮২টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। গতকাল সিএসইতে পাঁচ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।