Print Date & Time : 1 September 2025 Monday 5:16 pm

উৎপাদন সক্ষমতার ৭০ শতাংশ ব্যবহার করছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:অর্থনৈতিক মন্দা ও নানান সংকট পড়ে চট্টগ্রামের সীতাকুুণ্ডে উপকূলজুড়ে জাহাজ ভাঙা শিল্পকে কেন্দ্র করে এক দশক আগে গড়ে ওঠা ১৫টির মধ্যে ১০টির মতো অক্সিজেন কারখানা উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বাজারের শিল্প খাতে অক্সিজেনের চাহিদা বেড়েছে। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেনের উৎপাদন সক্ষমতার ৭০ শতাংশ ব্যবহার করছে। ফলে প্রতিষ্ঠানটির আয় ও মুনাফা বেড়েছে।

অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেনের প্রকাশিত তৃতীয় প্রান্তিক হিসাব অনুসারে তিন মাসে প্রতিষ্ঠানটির মোট বিক্রয় রাজস্ব ছিল ১৫ কোটি ৫০ হাজার টাকা। একই সময়ে নিট মুনাফা ছিল ৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

ইস্পাত শিল্পের বড় বড় প্রতিষ্ঠান খরচ কমানোর জন্য নিজেরাই অক্সিজেন কারখানা স্থাপন করেছে। তাছাড়া ব্যবসায়িক ব্যর্থতা ও খেলাপি ঋণের কারণে একের পর এক ইয়ার্ড বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে অক্সিজেন কারখানাগুলোর চাহিদা দিনের পর দিন কমে গিয়েছে। তাই এ খাতের ব্যবসায়ীরা কারখানা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।

অ্যাসোসিয়েট অক্সিজেরে প্রধান অর্থ কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসাইন শেয়ার বিজকে বলেন, বেশ কয়েকটি অক্সিজেন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে আমাদের উৎপাদিত অক্সিজেনের ওপর নির্ভরশীলতা বেড়েছে। তবে এখন বর্ষা মৌসুম চলার কারণে অক্সিজেনের বিক্রয় কিছুটা কমেছে। আমাদের সক্ষমতার ৭০ শতাংশ ব্যবহƒত হচ্ছে। আমরা ব্যবসা বৈচিত্র্যকরণ করার দিকে মনোযোগ দিচ্ছি। বিশেষ করে বাণিজ্যিকভাবে নাইট্রোজেন, আর্গন গ্যাসে উৎপাদন করার জন্য চিন্তা করছি। আর মন্দার কারণে অক্সিজেনের দামও বাড়ানো যাচ্ছে না। যদিও এর মধ্যে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম কয়েকবার বাড়ছে। আমরা পর কিউবিক ফুট অক্সিজেন ৩০ টাকায় বিক্রয় করছি। যা পরিবহন ও লেবার খরচসহ ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় পড়ছে।