উ. কোরিয়াকে পরমাণু অস্ত্রধারী রাষ্ট্র ঘোষণা কিমের

শেয়ার বিজ ডেস্ক: নিজ রাষ্ট্রকে পারমাণবিক অস্ত্রধারী হিসেবে ঘোষণা করে একটি নতুন আইন পাস করেছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির নেতা কিম জং-উন এ সিদ্ধান্তকে ‘অপরিবর্তনযোগ্য’ বলে অভিহিত করেছেন এবং পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে কোনো আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। গতকাল দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর: বিবিসি।

নতুন পাস করা এ আইনটিতে নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য পারমাণবিক হামলার অধিকারকেও অন্তর্ভুক্ত করেছে উত্তর কোরিয়া। নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও পিয়ংইয়ং ২০০৬ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ছয়টি পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছে। ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দুই দফায় হওয়া সিদ্ধান্তহীন শীর্ষ বৈঠকের পরে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ এবং পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছিলেন কিম জং উন। এর পর থেকে এ দুই দেশের মধ্যে আলোচনা থমকে গেছে।

যদিও বাইডেন প্রশাসন ইঙ্গিত দিয়েছে, তারা পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছুক, তবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিমের সঙ্গে দেখা করবেন কি না, তা বলা হয়নি। হোয়াইট হাউস আরও বলছে, পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার প্রচেষ্টা এবং দেশটির কভিড প্রাদুর্ভাবের বিষয়ে সহায়তার বিষয়ে দেয়া প্রস্তাবগুলোরও এখন পর্যন্ত উত্তর পাওয়া যায়নি।

যুক্তরাষ্ট্র গত বছর তার উত্তর কোরিয়া নীতি পর্যালোচনা করে এবং বলে, কোরীয় উপদ্বীপের ‘সম্পূর্ণ পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ’ তাদের লক্ষ্য। প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছিলেন, কূটনীতি ও কঠোর প্রতিরোধের মিশ্রণের মাধ্যমে এই নীতি অনুসরণ করবেন তিনি। তবে এর প্রতিক্রিয়ায় কিম বলেছিলেন, তার দেশকে অবশ্যই সংলাপ ও সংঘর্ষের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।

এদিকে পিয়ংইয়ংয়ের রেকর্ডসংখ্যক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের সঙ্গে এ বছর কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা বেড়েছে। চলতি বছর কিম রেকর্ডসংখ্যক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছেন এবং ২০১৭ সালের পর থেকে দেশটি হয়তো প্রথমবারের মতো পারমাণবিক পরীক্ষা চালাতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। গত আগস্টে এক প্রতিবেদনে ব্লুমবার্গ জানিয়েছিল, বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের মূল মনোযোগ এখন ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের দিকে সরে গেছে এবং এ সুযোগে কিম জং উন তার উসকানিমূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড চলতি বছর ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরু থেকে গত কয়েক মাসে দফায় দফায় উত্তর কোরিয়া তার বৃহত্তম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ (আইসিবিএম) একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। গত জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র-দ. কোরিয়ার সামরিক মহড়ার জবাবে একসঙ্গে আটটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল দেশটি।