ঋণ মওকুফে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্ষমতা জানতে হাইকোর্টের রুল

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ মওকুফের ক্ষমতা কেন অসাংবিধানিক হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। অর্থ সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং বিভাগের সচিব, আইন সচিব, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং অপারেশন বিভাগের মহাব্যস্থাপককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদেশে ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির ঋণ মওকুফ করা হয়েছে, তার একটি তালিকা আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকে এই তালিকা দাখিল করতে বলা হয়েছে।

হাইকোর্টের এ আদেশের বিষয়টি গতকাল সাংবাদিকদের জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এসএম মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, উপরোক্ত আদেশ ছাড়াও ঋণ মওকুফ পাওয়া প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ গ্রহণ করেছেন কি না, করে থাকলে তার পরিমাণ উল্লেখ করে একই সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি একটি ইংরেজি দৈনিক পত্রিকায় ‘খেলাপি ঋণ দেখিয়ে ৩০ হাজার কোটি টাকা গায়েব’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন আমলে নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মনিরুজ্জামান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শামস-উদ-দোহা।