নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ময়মনসিংহ বিভাগ বিএনপি’র সমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের পথে পথে বাধা দেয়া হয়েছে। সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তারপরও ময়মনসিংহের বিপ্লবী নেতাকর্মীরা পায়ে হেঁটে, যে যেভাবে পারেন সমাবেশে এসেছেন। মানুষ কোনো বাধা মানেনি। আজকের এই সমাবেশ প্রমাণ করে বাংলাদেশের মানুষ আর কোনো বাধা মানবে না।
ময়মনসিংহ শহরের পলিটেকনিক মাঠে আজ শনিবার বিকেলে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই সভার দাবি হলো, সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ ভেঙে দিতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। তিনি বলেন, ময়মনসিংহের মানুষ যারা গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। আজকে লড়াই করে সংগ্রাম করে আবার তাদের অধিকারকে ছিনিয়ে নিয়েছেন। সব কিছু উপেক্ষা করে মাঠ দখল করে তারা এখানে এসেছেন। এটা আমাদের বিজয়। ময়মনসিংহবাসী প্রমাণ করেছেন তারা যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সমাবেশে আসার পথে গাজীপুর পার হওয়ার পর মনে হলো হরতাল চলছে নাকি কারফিউ চলছে। রাস্তায় কোনো যানবাহন নেই। ছোট ছোট ট্রাকে আমাদের নেতাকর্মীরা এসেছে। পথে নাকি লাঠিসোটা নিয়ে সোনার ছেলেরা বাধা দিয়েছে। কিন্তু কোনো বাধা কাজে আসেনি।
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ একটি চোরের দল। এটা আমার কথা না, এটা তাদের নেতার কথা। চুরি আর সন্ত্রাস আওয়ামী লীগের মজ্জাগত অভ্যাস। তারা এখন হুংকার দিচ্ছে। আমি বলছি, তোমাদের হুংকারে বাংলাদেশের মানুষ ভয় পায় না। সারা দেশে যে উত্তাল তরঙ্গ তৈরি হয়েছে এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ভেসে যাবে।
তিনি বলেন, এই যে উন্নয়নের কথা বলা হচ্ছে এই উন্নয়নের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে কানাডায় বেগম পাড়া ও মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম করছে তারা।
সরকার বলেছিল ১০ টাকায় চাল দেবে। বিনা পয়সায় সার দেবে। ঘরে ঘরে চাকরি দেবে। তারা কি তা দিতে পেরেছে। চাকরি পেয়েছে কারা? যারা আওয়ামী লীগ করে ও ২০ লাখ করে ঘুষ দিতে পারছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আপনারা কী বিচারালয়ে বিচার পান? তখন উপস্থিত নেতাকর্মীরা না বলে জবাব দেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, গাইবান্ধায় আবার প্রমাণিত হয়েছে যে, এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।