একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড ২১ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে। একদিনেই মারা গেছেন ২১ জন। এনিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো প্রায় সাড়ে তিনশ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ হাজার ৭৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে নতুন শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৬০২ জন। মোট শনাক্ত ২৩ হাজার ছাড়ালো।

আজ সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। বুলেটিন উপস্থাপন করেন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তে আরও নয় হাজার ৯৩৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় নয় হাজার ৭৮৮টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো এক লাখ ৮৫ হাজার ১৯৬টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও এক হাজার ৬০২ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ হাজার ৮৭০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ২১ জন। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৪৯ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ২১২ জন। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন চার হাজার ৫৮৫ জন।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয় বুলেটিনে।

এছাড়াও ধূমপান ও তামাক সেবন থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন।  

মৃত ২১ জনের বয়স বিশ্লেষণ করে দেখা যায়: 

  • ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়স: ২ জন।
  • ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়স: ৬ জন।
  • ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়স: ৮ জন। 
  • ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়স: ৫ জন।

তাদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ১৫ জন ও বাসায় মারা গেছেন ৪ জন। 

দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ১৮ মার্চ।

এক নজরে বাংলাদেশের করোনাচিত্র: 

  • মোট আক্রান্ত: ২৩ হাজার ৮৭০ জন।
  • মারা গেছেন : ৩৪৯ জন।
  • মোট সুস্থ হয়েছেন: ৪ হাজার ৩৪৩ জন।
  • মোট নমুনা পরীক্ষা: ১ লক্ষ ৮৫ হাজার ১৯৬টি।

করোনাভাইরাস সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য সরকার ইতোমধ্যেই একটি বিশেষ ওয়েবসাইট (www.corona.gov.bd) চালু করেছে।

এদিকে, ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে, রোববার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা পর্যন্ত বৈশ্বিক এ মহামারিতে সারা পৃথিবীতে ৪৮ লাখ ৬ হাজার ২৯৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৮ লাখ ৬০ হাজার ৩৩৩ জন সুস্থ হয়ে উঠলেও প্রাণ গেছে ৩ লাখ ১৬ হাজার ৭৫৪ জনের।

সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যেসব দেশে:

  • যুক্তরাষ্ট্র: ৯০ হাজার ৯৭৮ জন।
  • যুক্তরাজ্য: ৩৪ হাজার ৬৩৬ জন।
  • ইতালি: ৩১ হাজার ৯০৮ জন।
  • ফ্রান্স: ২৮ হাজার ১০৮ জন।
  • স্পেন: ২৭ হাজার ৬৫০ জন।
  • ব্রাজিল: ১৬ হাজার ১২২ জন।
  • বেলজিয়াম: ৯ হাজার ৫২ জন।
  • জার্মানি: ৮ হাজার ৪৯ জন।
  • ইরান: ৬ হাজার ৯৮৮ জন।
  • কানাডা: ৫ হাজার ৭৮২ জন।