Print Date & Time : 4 July 2025 Friday 2:51 pm

একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য অভিনেত্রী বাঁধন!

শেয়ার বিজ ডেস্ক : ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। ঋতুর সঙ্গে এ দেশের মানুষের বদলায় মন, মর্জি ও রুচি। যেন মতের সঙ্গে মিললে কাজি, না মিললেই পাজি! এরই এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ হয়েছেন অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধন। কীভাবে নিজেকে একাধিক দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য হিসেবে আবিস্কার করেছেন— তুলে ধরেছেন সেই অভিজ্ঞতা। আজ রোববার (২৫ মে) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছেন সেই অভিজ্ঞতা।

বাঁধণ জানিয়েছেন, জুলাই গণভ্যুত্থানের পরে ও আগের বেশ কিছু ঘটনা।

তিনি লিখেন, ২০২১ সালে যখন বলিউডের একটি সিনেমা ‘খুফিয়া’তে কাজ করলাম তখন আমি ছিলাম একজন গর্বিত ‘র’এজেন্ট। সিনেমায় সহ-অভিনেতা হিসেবে ছিলেন তাবু। কিন্তু এরপরই ঘটনায় মোড় নেয়, যখন আমাকে সিনেমার প্রেমিয়ারে যেতে বাধা দেয়া হলো।

বাঁধন লিখেন, আমার ভিসা একবার দুইবার নয়, পাঁচবার ভারতীয় হাইকমিশন থেকে প্রত্যাখান করা হলো। কারণ হিসেবে তারা ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের সঙ্গে একটি ছবি দেখায় এবং এ বিষয়ে তাদের উদ্বেগের কথা জানায়। এরপর আমি আমার দেশের কিছু উচ্চপদস্থ বন্ধুর সঙ্গে বিষয়টি শেয়ার করি এবং এক মাসের সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা পাই। খবর পাই, আমার সেই সিনেমার কোনো অভিনেতা এই ভিসা বিপত্তির জন্য দায়ী। এর ফলে বলিউড ও কলকাতার একাধিক সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে বলেও জানান বাঁধন।

এরপর বাঁধন কথা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান প্রসঙ্গে।

তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে আমাকে বলা হয় আমি সিআইয়ের এজেন্ট এবং ইউএসএইড থেকে টাকা নিয়েছি এবং এই অভ্যুত্থানের জন্য দায়ী। এরপর বলা হয় আমি জামায়ত কর্মী। কারণ আমি আমার প্রোফাইলে এক জামায়াত নেতার ছবি শেয়ার করেছি।

এরমধ্যে আমাকে বলা হয় আমি ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদস্য। তারপর গতকাল রাতে আমাকে আবারও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ‘র’ এজেন্ট বলা হলো।

হতাশা প্রকাশ করে বাঁধন বলেন, কী ধরনের সমাজে বাস করি আমরা। এখানে কেউ দেশকে ভালোবাসে না। এবং মনে করে কেউ দেশকে ভালোবাসে না।