একীভূতকরণ খসড়া অনুমোদন করল আরএন স্পিনিংয়ের পর্ষদ

নিজস্ব প্রতিবেদক: সামিন ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ ও টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডকে একীভূতকরণের খসড়া স্কিমে অনুমোদন দিয়েছে মূল প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি আরএন স্পিনিং মিলস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। নিয়ন্ত্রক সংস্থা, শেয়ারহোল্ডার ও হাইকোর্টের অনুমোদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে গতকাল এ তথ্য জানিয়েছে কোম্পানিটি।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, আরএন স্পিনিং মিলসের পরিচালনা পর্ষদ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একীভূতকরণ বা একত্রীকরণের বিষয়ে ১৭তম বার্ষিক সাধারণ সভার শেয়ারহোল্ডারদের সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা করেছে। সভায় তারা সামিন ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ও টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডকে একীভূতকরণের মাধ্যমে একটি ব্যবসায়িক সমন্বয় সাধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সভায় একীভূতকরণের খসড়া প্রকল্পও অনুমোদন করা হয়। উল্লেখ্য যে, এখানে উভয় প্রতিষ্ঠান অভিন্ন ব্যবস্থাপনার অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। সামিন ফুড অ্যান্ড বেভারেজ এবং টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড ২০১৮-২০১৯ আর্থিক বছর থেকে মোহনা, ভাবানীপুর, গাজীপুর সদরে ৭৯ হাজার ৮৪৮ স্পিন্ডেল কটন, ভিসকোস এবং সিভিসি ইয়ার্ন স্পিনিং উৎপাদন ক্ষমতা নিয়ে কাজ করছে। একীভূতকরণ প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে, আরএন স্পিনিং মিলস লিমিটেডের সঙ্গে সামিন ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ইন্ডা. এবং টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড একীভূত হবে।

চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২১) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন পয়সা (লোকসান), যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬ পয়সা (লোকসান)। ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১২ পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে এক পয়সা।

এর আগে ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৮ পয়সা (লোকসান) এবং ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৫ পয়সা। এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৭ পয়সা।

২০১০ সালে পুঁজিবাজারে আসা ‘জেড’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৩৯২ কোটি ৫৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভ ঘাটতির পরিমাণ ৪৩৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ৩৯ কোটি ২৫ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩৪টি। মোট শেয়ারের মধ্যে ৩০ শতাংশ উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের হাতে, ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক, শূন্য দশমিক শূন্য তিন শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে এবং ৫৮ দশমিক ৭১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে।