এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ স্থগিত চায় চসিক

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পণ্য পরিবহনে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ স্থগিত করার অনুরোধ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। গতকাল উপানুষ্ঠানিক ওই চিঠি বা ডিও (চিঠি নং-৪৮/২০১৮) পাঠানো হয়।
চিঠিতে বৃহত্তর চট্টগ্রাম থেকে সারা দেশে শিল্পের কাঁচামাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য পরিবহনে অতিরিক্ত ব্যয় কমানো, পণ্যের মূল্য সাধারণ মানুষের নাগালে রাখতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুই এক্সেলবিশিষ্ট মোটরযানে ১৩ টন ওজন পরিবহনের বাধ্যবাধকতা শিথিল করা, রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে রমজান মাসে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পরিবহনে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ স্থগিতের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
চিঠিতে চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘দেশের যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়ন ও বৈপ্লবিক পরিবর্তনে আপনার নেতৃত্ব প্রশংসনীয়। দেশের মহাসড়কের স্থায়িত্ব নিশ্চিতে যে কোনো ইতিবাচক কার্যক্রমকে আমি স্বাগত জানাই। আপনি জানেন, বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে সরবরাহ করা পণ্য দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে প্রভাব রাখে। সম্প্রতি বৃহত্তর চট্টগ্রাম থেকে সারা দেশে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে দুই এক্সেল ছয় চাকাবিশিষ্ট মোটরযানের মাধ্যমে মাত্র ১৩ টন ওজন নির্দিষ্ট করে দেওয়ায় পরিবহন ব্যয় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। শিল্পের কাঁচামাল, ভোগ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে পরিবহন ব্যয় কেজিপ্রতি তিন-চার টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের অন্য কোনো মহাসড়কে ওজন নিয়ন্ত্রণ না থাকায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।’
এছাড়া ওই চিঠিতে ‘দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের প্রায় সিংহভাগ চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে আমদানি করা নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য ও বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল সারা দেশে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। অন্যদিকে সরকার সারা দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে উল্লিখিত ওজন নিয়ন্ত্রণের কারণে পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধির ফলে সারা দেশের সাধারণ মানুষ এসব পদক্ষেপের সুফল থেকে বঞ্চিত হবে এবং ভোগ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাবে’ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।