এক দিনে ১০ মৃত্যু নতুন শনাক্ত ৪৪৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত এক দিনে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ৪৪৩ জন। গতকাল সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, নতুন শনাক্ত নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার ৫৮২ জন। আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ১০ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা আট হাজার ১৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৪৭২ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে চার লাখ ৮০ হাজার ২১৬ জন হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে প্রথম কভিড-১৯ শনাক্তের কথা সরকার ঘোষণা করে গত বছরের ৮ মার্চ। তা সোয়া পাঁচ লাখ পেরিয়ে যায় গত ১৪ জানুয়ারি। এর মধ্যে গতবছরের ২ জুলাই চার হাজার ১৯ জন কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গতবছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ২৩ জানুয়ারি তা আট হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

বিশ্বে শনাক্ত কভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১০ কোটি ২৯ লাখ পেরিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২২ লাখ ২৮ হাজার। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩১তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থানে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৬টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৮টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৬২টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ২০৬টি ল্যাবে ১২ হাজার ৪৭৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩৬ লাখ ৬৪ হাজার ১৯৭টি নমুনা।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার তিন দশমিক ৫৫ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫২ শতাংশ।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৮ লাখ ৬০ হাজার ৯৩৪টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে আট লাখ তিন হাজার ২৬৩টি। গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ আর নারী একজন। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।

তাদের মধ্যে সাতজনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, দুজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং একজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিল। মৃতদের মধ্যে সাতজন ঢাকা বিভাগের এবং একজন করে মোট তিনজন চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া আট হাজার ১৩৭ জনের মধ্যে ছয় হাজার ১৬৬ জনই পুরুষ এবং এক হাজার ৯৭১ জন নারী। তাদের মধ্যে চার হাজার ৫০৯ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও দুই হাজার ৩৩ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯৩০ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৪০৩ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৬৫ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৬১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৬ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।

এর মধ্যে চার হাজার ৫৩২ জন ঢাকা বিভাগের, এক হাজার ৪৯৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৬৩ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৫১ জন খুলনা বিভাগের, ২৪৬ জন বরিশাল বিভাগের, ৩০৫ জন সিলেট বিভাগের, ৩৫৭ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৮৯ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।