প্রধান উপদেষ্টার জাপান সফর

এক বিলিয়ন ডলারের সহায়তার ঘোষণা আসতে পারে

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আমরা জাপানের কাছে এক বিলিয়ন ডলারের মতো সাপোর্ট এক্সপেক্ট করছি। তার মধ্যে ৫০০ মিলিয়ন ডলার হবে বাজেট সাপোর্ট। ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রেস সচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাপান সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সফরের সময় জাপানের পক্ষ থেকে এক বিলিয়ন ডলারের সহায়তার ঘোষণা আসবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি, যার মধ্যে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের বাজেটারি সহায়তা, ২৫০ মিলিয়ন রেল খাতের উন্নয়ন এবং ২৫০ মিলিয়ন ডলার অন্যান্য খাতের জন্য।

এই সফরে নিক্কেই ফোরামের সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে ৩০ মে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা। দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে সাতটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া তিনি দুটি সেমিনারে অংশগ্রহণ করবেন।

শফিকুল আলম বলেন, জাপানে কীভাবে প্রশিক্ষিত জনবল পাঠানো যায়, বিষয়টি এবারের সফরে বিশেষ গুরুত্ব পাবে। প্রধান উপদেষ্টা আপাতত এক লাখ জনবল সেখানে পাঠানোর লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করেছেন। এর জন্য ভাষা প্রশিক্ষণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কীভাবে ভাষা প্রশিক্ষণ দিয়ে জনবল পাঠানো যায়, সে বিষয়ে গভীর আলোচনা হবে বলে জানান তিনি।
প্রেস সচিব আরও বলেন, জাপান সফরে মহেশখালী-মাতারবাড়ী অঞ্চলের উন্নয়ন উদ্যোগ (এমআইডিআই) বাস্তবায়নের বিষয় হবে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের আলোচনার প্রধান বিষয়। জাপান বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগকারীদের জন্য কী কী সুবিধা দেয়া যায়, সেসব বিষয় তুলে ধরবেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে ৩০০-এর ওপরে জাপানি বিনিয়োগকারী উপস্থিত থাকবেন বলে উল্লেখ করেন শফিকুল আলম। এ ছাড়া ৩০ মে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে, সেখানে এই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর জন্য অর্থায়ন নিশ্চিত করার বিষয়টিও থাকবে।

শফিকুল আলম বলেন, জাপান মাতারবাড়ী অঞ্চলে তাদের দ্বিতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করতে চায়। প্রধান উপদেষ্টা মহেশখালী-মাতারবাড়ী অঞ্চলকে সিঙ্গাপুরের মতো উন্নত বন্দর এলাকায় রূপান্তর করতে চান। জাপান সফরে প্রধান উপদেষ্টা বড় বড় কোম্পানিকে এই বন্দরে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানাবেন। এর বাইরে তিনি জাপানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাওয়ার্ড পাবেন বলে জানান প্রেস সচিব। আগামী ৩১ মে প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।