এক যুগে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: মূল্যস্ফীতির পারদ মে মাসে বেড়ে দাঁড়ায় ১০ শতাংশে। গত মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। গতকাল সোমবার প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ মূল্যস্ফীতির এই হার দেখা গেছে, যা প্রায় এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। এর আগে ২০১২ সালের মার্চে ১০ দশমিক ১০ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল। এরপর আর কখনও মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘরে যায়নি। পরের মাসে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে।

বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, গত মে মাসে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ। গ্রাম ও শহরের সার্বিক মূল্যস্ফীতি প্রায় সমান। গ্রামে এখন মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ, শহরে এই হার ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

মে মাসে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হওয়ার মানে হলোÑ২০২২ সালের মে মাসে একজন মানুষ যে পণ্য ১০০ টাকায় কিনতেন, চলতি বছরের মে মাসে একই পণ্য কিনতে তার খরচ হয়েছে ১০৯ টাকা ৯৪ পয়সা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে খরচ বেড়েছে ৯ টাকা ৯৪ পয়সা। মূল্যস্ফীতি হলো একধরনের করের মতো, যা ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবার ওপর চাপ বাড়ায়।

এক বছর ধরে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। সাড়ে সাত শতাংশ মূল্যস্ফীতি নিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই শুরু হয়। ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে আমদানি পণ্যের দাম বাড়তে থাকায় মূল্যস্ফীতি বাড়ে। আগস্টে জ্বালানি তেলের দাম রেকর্ড বাড়ানোর ফলে মূল্যস্ফীতি একলাফে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ উঠে যায়, যা ২০১১ সালের এপ্রিলের পর সর্বোচ্চ। এরপর টানা পাঁচ মাস ধরে মূল্যস্ফীতি কমে। তবে তা কোনো মাসে সাড়ে আট শতাংশের নিচে নামেনি। তিন মাস ধরে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির ধারায় রয়েছে।