দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এক লাখ পরিবারের কাছে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেবে মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন। গতকাল বুধবার এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ‘বন্যার্তদের পাশে হাত বাড়িয়ে এক সঙ্গে’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করে অপারেটরটি।
বন্যার্ত মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহযোগী হয়েছে গ্রামীণফোন। এ ত্রাণ সহায়তার মধ্যে রয়েছে চাল, চিনি, লবণ, ডাল ও সুজি। এসব খাদ্যসামগ্রী চারজনের পরিবারের এক সপ্তাহের খাদ্যের জোগান দেবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ত্রাণসামগ্রী ইতোমধ্যে জামালপুর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, শরীয়তপুর ও কুড়িগ্রামের ২৫ হাজার পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ কার্যক্রম শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।
অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, চলতি বছর কভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারি ও চলমান বন্যা পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। বন্যার কারণে দেশের লাখ লাখ মানুষ ও ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে গ্রামীণফোনের ত্রাণ সহায়তা উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক হাবিবে মিল্লাত বলেন, ‘কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে জরুরি সহায়তা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জীবিকাহীন মানুষের পাশে দাঁড়াতে আমরা বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এটি একটি কঠিন সময় এবং এ সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। এ ক্রান্তিকালে বন্যার্ত মানুষের সহায়তায় পাশে দাঁড়িয়েছে গ্রামীণফোন। তাদের এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তিনি বলেন, ‘গ্রামীণফোনের সঙ্গে রেড ক্রিসেন্টের পার্টনারশিপ নতুন নয়। এর আগের বন্যায়ও গ্রামীণফোন স্বতপ্রণোদিত হয়ে উল্লেখযোগ্য সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছিল। সমাজের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এটি সত্যিই একটি দৃষ্টান্তমূলক অবদান।’ বিজ্ঞপ্তি