এখন আর নামাজ আদায় হয় না যে মসজিদে !

oppo_0

কুদরতে খোদা সবুজ, কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার মিরপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ওয়াক্তিয়া মসজিদটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এক সময় এখানে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা নিয়মিত নামাজ আদায় করলেও এখন এটি একেবারে পরিত্যক্ত। সংস্কারের অভাবে মসজিদটি এখন ধ্বংসের দারপ্রান্তে রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়,  মিরপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুরপাড়ে অবস্থিত এই ওয়াক্ত মসজিদটি জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ইটের তৈরি মসজিদটির টিনের চালা, জানালা-দরজা সমস্ত কিছু নষ্ট হয়ে গেছে। দেয়াল থেকে খসে পড়ছে ইটসুড়কি। বিশালাকৃতির একটি গাছ হেলে আছে টিনের চালার উপরে।

জানা গেছে, ১৯৪৪ সালে স্থাপিত প্রাচীন বিদ্যাপীঠ মিরপুর পাইলট উচ্চ বিদয়ালয়ে বর্তমানে বর্তমানে প্রায় ৪৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এরমধ্যে তাই সাড়ে ৩০০ ছেলে এবং ১০০ মেয়ে শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করেন।

এ সময় কথা হয় স্থানীয় এক ব্যক্তির সাথে  নাম প্রকাশ না করে তিনি বলেন, এখানে প্রায় ৩০ বছর আগে আমরা নিয়মিত নামাজ আদায় করতাম। তবে এখন এটি একেবারেই পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মসজিদের জানালা-দরজা টিনের চালা সবকিছু নষ্ট হয়ে গেছে। মসজিদের আশপাশেও আগাছায় ভরে গেছে। এটি সংস্কার করা হলে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আবার নামাজ পড়ার সুযোগ পেত।

মিরপুর পাইলট স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী আছাদুর রহমান বাবু বলেন, একসময় এই ওয়াক্তিয় মসজিদটিতে নিয়মিত নামাজ আদায় করা হতো। এখানে আমাদের অনেকেই নামাজ আদায় করতেন। কিন্তু মসজিদটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এটিকে সংস্কার করে পুনরায় নামাজের ব্যবস্থা করা হলে শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসী এখানে নামাজ আদায় করতে পারবেন।

মিরপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, মিরপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুরপাড়ে অবস্থিত ওয়াক্ত মসজিদটি দীর্ঘদিন জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আমি যোগদানের পর এটিকে সংস্কারের চেষ্টা করেছি কিন্তু অর্থ অভাবে সেটি সম্ভব হয়নি। যদি অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায় তাহলে এটাকে সংস্কার করে পূণরায় চালু করা সম্ভব হবে।