Print Date & Time : 8 July 2025 Tuesday 10:41 pm

এজলাস থেকে সরছে লোহার খাঁচা

শেয়ার বিজ ডেস্ক: আদালতের এজলাসে আসামিদের দাঁড়াবার জন্য স্থানে লোহার খাঁচা রাখার বিষয়টিতে বিতর্কের সূত্রপাত করেছিলেন বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এবার সেই লোহার খাঁচা অপসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এজলাস কক্ষ থেকে আসামিদের রাখার লোহার খাঁচা সরানো হচ্ছে।

এছাড়া পর্যায়ক্রমে ঢাকা জেলা ও দায়রা ও মহানগর দায়রা জজ আদালতের এজলাসে থাকা লোহার খাঁচাও সরানো হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

শনিবার (১৭ আগস্ট) চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এক কর্মকর্তা জানান, গতকাল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের দুজন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরানো হয়েছে। গণপূর্ত বিভাগের লোকজন এই খাঁচা সরানোর কাজ করছেন।

ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির খাদেমুল ইসলাম বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পর্যায়ক্রমে আমাদের আদালত কক্ষে বসানো লোহার খাঁচা সরানো হবে।

গত ১২ জুন তিনি ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমরা অনেকক্ষণ খাঁচার (আসামির কাঠগড়া) মধ্যে ছিলাম। আমি যতদূর জানি, যত দিন আসামি অপরাধী হিসেবে দোষী সাব্যস্ত না হচ্ছে তত দিন তিনি নিরপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবেন। একজন নিরপরাধ নাগরিককে শুনানির সময় লোহার খাঁচায় (আসামির কাঠগড়া) দাঁড়িয়ে থাকতে হবে, এটা অত্যন্ত অপমানজনক।’

তিনি তখন প্রশ্ন তোলেন, সভ্য দেশে কেন একজন নাগরিককে শুনানির সময় পশুর মতো দাঁড়িয়ে থাকতে হবে?

এরআগে, দেশের অধ্বঃস্তন আদালত কক্ষে থাকা লোহার খাঁচা অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী। পরে নিম্ন আদালতের এজলাসে লোহার খাঁচা স্থাপন কেন অবৈধ নয়, জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এছাড়া সংবিধানের কয়েকটি ৩১, ৩২ ও ৩৫(৫) অনুচ্ছেদ অমান্য করে আদালতে লোহার খাঁচা বসানোর কার্যক্রম কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়।