নিজস্ব প্রতিবেদক: এজেন্ট ব্যাংকিং পরিচালনার জন্য আরও দুই ব্যাংককে লাইসেন্স দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন করে প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড এবং এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংককে এ সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়াল ২৮টি। তবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে ২৩ ব্যাংক। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এক বছরের ব্যবধানে চলতি বছরের জুন শেষে এজেন্টের মাধ্যমে খোলা ব্যাংক হিসাব বেড়ছে ১১৫ শতাংশ।
যেখানে ব্যাংকের কোনো শাখা নেই বা শাখার মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা অধিক ব্যয়বহুল ও অলাভজনক, এ রকম দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতে ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর এজেন্ট ব্যাংকিং নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। শহরের চেয়ে গ্রামেই বেশি জনপ্রিয় এজেন্ট ব্যাংকিং। বর্তমানে ২৩টি বাণিজ্যিক ব্যাংক আট হাজার ৭৬৪টি মাস্টার এজেন্টের আওতায় ১২ হাজার ৪৪৯টি আউটলেটের মাধ্যমে এ সেবা দিচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আওতায় ৭৩ লাখ ৫৮ হাজার ১৯০ জন গ্রাহক হিসাব খুলেছেন। এসব হিসাবে জমাকৃত অর্থের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ২২০ কোটি টাকা। গত বছরের জুন (২০১৯) পর্যন্ত গ্রাহক ছিল ৩৪ লাখ ১৬ হাজার ৬৭২ জন এবং আমানত স্থিতি ছিল পাঁচ হাজার ২৮৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে গ্রাহক বেড়েছে ৪৯ লাখ ৪১ হাজার ৫১৮ জন এবং আমানত স্থিতি বেড়েছে চার হাজার ৯৩৬ কোটি টাকা।
বর্তমানে যে ২৩টি ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে সেগুলো হলোÑব্যাংক এশিয়া, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, দ্য সিটি ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংক।