Print Date & Time : 29 August 2025 Friday 3:57 am

এটা স্বাভাবিক কোনো বিস্ফোরণ নয়: র‌্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক: র‌্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের প্রধান মেজর মশিউর রহমান বলেছেন, আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি ভবনের বিস্ফোরণ বেজমেন্ট থেকে হয়েছে। এটা স্বাভাবিক কোনো বিস্ফোরণ নয়। গ্যাস জমে কিংবা অন্য কোনোভাবে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এ ঘটনা এসি থেকে ঘটেনি, এটা নিশ্চিত হয়েছি।

গতকাল বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে উদ্ধার কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।

র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, আমাদের র‌্যাবের ডগ স্কোয়াড এবং বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট এখানে উপস্থিত আছে। তারা তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এবং রাজউকের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে। গেল মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে একটি ৭ তলা ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৮ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।

এদিকে বিস্ফোরণের ঘটনায় মানুষ আটকে রয়েছে কিনা, তা খুঁজতে র‌্যাবের ডগ স্কোয়াড আনা হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন র‌্যাব সদস্য বলেন, আমরা অনেক কুকুর এনেছি। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন যখন চাইবে তখন এগুলো নিয়ে যাওয়া হবে।

তিনি বলেন, এগুলো মূলত ভবনের ভেতরে কেউ চাপা পড়ে আছে কিনা, কেউ বেঁচে আছে কিনা সেগুলো শনাক্ত করবে। মরদেহ থাকলেও শনাক্ত করবে। এর বাইরে যদি বিস্ফোরক জাতীয় কিছু থাকে তাও চিহ্নিত করার জন্য ডগ স্কোয়াড আনা হয়েছে।

এদিকে দুপুর ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশনস অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা লাইট রেসকিউ (হালকা যন্ত্রপাতি দিয়ে) অভিযান করছি। ডেডবডি লোকেট (শনাক্ত) করার জন্য ডগ স্কোয়াড আনা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনী, সিটি করপোরেশন, রাজউকের ইঞ্জিনিয়ারদের সমন্বয়ে একটি কমিটি করা হয়েছে। বিল্ডিংটা ঝুঁকিপূর্ণ; এটাকে সাপোর্ট দিতে হবে। তারপর হেভি রেসকিউ অ্যাকটিভিটিজ চালানো হবে।’

এদিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৮ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। এছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় ১১৭ জন। বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছে পরিবার।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ১৬ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে ২০ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিভিন্ন ওয়ার্ডে রয়েছে। বার্ন ইউনিটে ১১ জনের মধ্যে একজনকে ওয়ার্ডে ট্রান্সফার করা হয়েছে।