নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে সফররত যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিনেটরদের কাছে ন্যানো টেকনোলজির বিষয়ে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। গতকাল রাজধানীর ফেডারেশন ভবনে নিউইয়র্ক সিনেট প্রতিনিধিদল ও এফবিসিসিআই নেতাদের মধ্যকার এক আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানান তিনি। এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিমের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্ক সিনেট প্রতিনিধিদলের নেতা সিনেটর লুইস আর সেপুলভেদা, সিনেটর জন লিউ, সিনেটর জেমস স্কউফিস, সিনেটর কেভিন এস পারকার এবং লেরয় কমরি।
প্রতিনিধিদল মার্কিন অর্থনীতিতে নিউইয়র্কের অবদান উল্লেখ করে বলেন, নিউইয়র্ক যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক এপিক সেন্টার এবং কৃষিসমৃদ্ধ একটি রাজ্য। তাই তারা চেম্বার অব কমার্স এবং বিজনেস কাউন্সিলের সহযোগিতায় বাংলাদেশের সঙ্গে স্টেট লেভেল পার্টনারশিপ করতে আগ্রহী। তারা জানান, নিউইয়র্কের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আমেরিকান বাংলাদেশি এবং অনাবাসি বাংলাদেশিরাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। গত কয়েক বছরে এ দেশের শিক্ষা, আইসিটি, পর্যটন, শিল্প এবং অবকাঠামোসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে যে লক্ষণীয় অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে তার প্রশংসা করে সিনেট প্রতিনিধিদল।
এফবিসিসিআই সভাপতি দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, দ্রুত অগ্রসরমান উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ, বেসরকারি খাতের শীর্ষ সংগঠন হিসেবে বিভিন্ন নীতি প্রণয়নে সরকারের সঙ্গে এফবিসিসিআই’র অংশীদারিত্ব এবং দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সরকারি-বেসরকারি খাতের যৌথ উদ্যোগের বিষয়ে অবহিত করেন। এছাড়া এফবিসিসিআই সিডব্লিউইআইসি, ইউএন, ডব্লিউটিও, আইটিসি, আইসিসি, এসআরসিআইসি (সিল্ক রুট), এসসিসিআইসহ ৯৭টিরও বেশি আন্তর্জাতিক অংশীদারিদের সঙ্গে নীতিনির্ধারক হিসেবে কাজ করছে। তিনি গত কয়েক দশকে বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং স্থিতিশীল ম্যাক্রো-ইকোনমিক প্রবৃদ্ধির বিষটির ওপরও গুরুত্ব দেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি জানান, ২০১৯ অর্থবছরে বন্ধুপ্রতীম দেশ দুটির মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আট দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে, যেখানে রফতানির পরিমাণ ছয় দশমিক ৮৭ এবং আমদানির পরিমাণ এক দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার, যা দেশ দুটির মধ্যে নলেজ ট্রান্সফার, ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিক এক্সচেঞ্জ এবং বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ে আরও গুরুতপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।