Print Date & Time : 27 July 2025 Sunday 9:47 am

এফ আর টাওয়ারের মালিকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

 নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার বনানীর এফ আর টাওয়ারকে ১৫ তলা পর্যন্ত নির্মাণে ইমারত বিধিমালা লঙ্ঘন এবং নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে ১৮ তলা পর্যন্ত বাড়ানোর অভিযোগে চার্জশিটের (অভিযোগপত্র) অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। চার্জশিটে এফ আর টাওয়ার ভবনের এসএমএইচআই ফারুক ও রূপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুলসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। বাকি তিনজন হলেন রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন খাদেম, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমান ও সাবেক অথরাইজড অফিসার সৈয়দ মকবুল আহমেদ।

গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন থেকে ওই চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ২৫ জুন উপপরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিক বাদী হয়ে মামলাটি করেন। যেখানে দণ্ডবিধির চারটি ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। গত ২৮ মার্চ এফ আর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৭ জন নিহত হওয়ার পর এই ভবন নির্মাণে নানা অনিয়মের বিষয় বেরিয়ে আসতে থাকে।

কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউতে ওই ভবনের জমির মূল মালিক ছিলেন প্রকৌশলী এসএমএইচআই ফারুক। অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ভবনটি নির্মাণ করে রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট লিমিটেড। সে কারণে সংক্ষেপে ভবনের নাম হয় এফ আর টাওয়ার। এছাড়া দুদক রাজউকের ভুয়া ছাড়পত্রের মাধ্যমে এফ আর টাওয়ারকে ১৯ তলা থেকে বাড়িয়ে ২৩ তলা করা, ওপরের ফ্লোরগুলো বন্ধক দেওয়া ও বিক্রির অভিযোগে অপর একটি মামলায় ২০ জনকে আসামি করা হয়। এফ আর টাওয়ারের মালিক এসএমএইচআই ফারুক, রূপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল, এফ আর টাওয়ার ওনার্স সোসাইটির সভাপতি কাসেম ড্রাইসেলের এমডি তাসভীর-উল- ইসলামের নাম রয়েছে এ মামলার আসামির তালিকায়।

অগ্নিকাণ্ডের পর সরকারের বিভিন্ন সংস্থা চারটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এর মধ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি নকশা অনুমোদনে বিধি লঙ্ঘন এবং নির্মাণের ক্ষেত্রে ত্রুটিবিচ্যুতির জন্য রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চিহ্নিত করে প্রতিবেদন দেয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এফ আর টাওয়ারের ১৮ তলার নকশা অনুমোদন করা হয়েছিল বিধি লঙ্ঘন করে। তার ওপরে আরও পাঁচটি ফ্লোর নির্মাণের নকশাকে বৈধতা দিতে বিভিন্ন পর্যায়ে দুর্নীতি হয়। ত্রুটি ও নিয়মের ব্যত্যয় ছিল ভবনটি নির্মাণের ক্ষেত্রেও।