শেয়ার বিজ ডেস্ক: এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও যুক্ত ব্যক্তি ও বিভিন্ন গ্রুপের ওপর খবরদারির চেষ্টা চালাচ্ছে রাশিয়া, চীন ও ইরান সংশ্লিষ্ট হ্যাকাররা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট এ অভিযোগ করেছে। ২০১৬ সালের নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রচারণার নথি হাতিয়ে এ হ্যাকার গ্রুপ প্রভাব বিস্তারে কাজ করেছিল। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, এবারে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন উভয়ের প্রচারণার ওপর নজরদারি অব্যাহত রেখেছে হ্যাকাররা। খবর: বিবিসি।
নানা তদন্তের পর মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছায় যে, ২০১৬ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিন্টনের পরাজয়ের নেপথ্যে ভূমিকা রাখে রাশিয়া। এ লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় মদদে সাইবার হামলা চালানো ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো হয় ফেইক নিউজ। স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুলারের তদন্তে বেরিয়ে আসে রাশিয়ান হ্যাকাররা ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটির কম্পিউটার সিস্টেম এবং ক্লিন্টনের প্রচারণা প্রধান জন পোদেস্টার ব্যক্তিগত ই-মেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে সক্ষম হয়। ফাঁস হয় হাজার হাজার ই-মেইল। পরে ফেসবুকও স্বীকার করে রুশ সমর্থিত বিভিন্ন কন্টেন্ট তাদের প্ল্যাটফর্মে প্রায় ১২ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন নাগরিকের কাছে পৌঁছায়।
মাইক্রোসফটের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ক্রেতাদের নিরাপত্তা ও বিশ্বাস অর্জনে দায়িত্বপ্রাপ্ত টম ব্রাট এক বিবৃতিতে বলেন, ‘২০১৬ সালে যেমনটি দেখা গিয়েছিল সেই একই রকমভাবে মানুষের লগইন তথ্য এবং তাদের অ্যাকাউন্ট-সংক্রান্ত তথ্য পেতে কার্যক্রম চালানো শুরু করেছে স্ট্রোনটিয়াম (রুশ প্রতিষ্ঠান), ধারণা করা হচ্ছে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ কিংবা কার্যক্রম ব্যাহত করতেই এগুলো করা হচ্ছে।’ মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি বলছে, চীনা হ্যাকাররা বাইডেনের প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে। আর ইরানি হ্যাকাররা ট্রাম্পের প্রচারণায় সহযোগিতাকারী ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু বানানো অব্যাহত রেখেছে।
তবে এসব সাইবার হামলার বেশিরভাগই সফল হতে পারেনি বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট। প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, হামলাকারীরা এখনও নির্বাচন ব্যবস্থা দেখভালের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু বানায়নি।
মাইক্রোসফট কর্মকর্তা টম ব্রাট বলেন, ‘দেখা যাচ্ছে আগের হামলার ধরনের মতো করেই এবারেও কেবল প্রার্থী এবং প্রচারণায় যুক্ত ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু বানানো হচ্ছে না বরং যারা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন তাদেরও লক্ষ্যবস্তু বানানো হচ্ছে।’ তিনি বলেন, নির্বাচন এগিয়ে আসতে থাকার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যুক্ত ব্যক্তিরা বিনামূল্যে কিংবা কম দামি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যবহার করার সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে হ্যাকাররা।