এবার ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য আমদানি বন্ধ করছে স্লোভাকিয়া

শেয়ার বিজ ডেস্ক: পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরির পর এবার আরেক প্রতিবেশী দেশ স্লোভাকিয়াও ইউক্রেনের কাছ থেকে খাদ্যশস্য ও অন্যান্য খামারজাত দ্রব্য আমদানি বন্ধের কথা জানিয়েছে। তবে তৃতীয় কোনো বাজারে খাদ্যশস্য পরিবহনের জন্য ইউক্রেনের সঙ্গে নিজেদের সীমান্ত খোলা রাখবে দেশটি। গত সোমবার এসব তথ্য জানিয়েছেন সেøাভাকিয়ার কৃষিমন্ত্রী স্যামুয়েল ভ্যালকান। খবর: রয়টার্স।

গত শনিবার পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরি ইউক্রেনের কাছ থেকে শস্য ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য আমদানি নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দেয়। স্থানীয় কৃষি খাতের সুরক্ষায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানায় দেশ দুটি। তাদের বাজারে এসব পণ্যের অতিরিক্ত সরবরাহের কারণে দাম পড়ে যাওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।

সেøাভাকিয়ার কৃষিমন্ত্রী স্যামুয়েল ভ্যালকান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য আমদানি বন্ধে পোল্যান্ড অত্যন্ত কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। আমরাও নিজেদের বাজার সুরক্ষায় একই পদক্ষেপ নিয়েছি। যেসব পণ্যে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ, সেই বাজারের সুরক্ষায় আমাদের কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখাতে হচ্ছে।

এছাড়া সেøাভাক ভোক্তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে উদ্বেগের কথাও জানান স্যামুয়েল ভ্যালকান।

ইউক্রেনের খাদ্যশস্য ও খামারজাত পণ্য আমদানি নিষিদ্ধে এটাও ভূমিকা রেখেছে। বিশেষ করে ইউক্রেন থেকে আসা খাদ্যশস্যের একটি চালানের বিতরণ গত সপ্তাহে বন্ধ করে দিয়েছে সেøাভেনিয়া সরকার। ওই চালানের শস্যে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার শনাক্ত করেছে দেশটি।

ইউক্রেন থেকে কোন ধরনের খাদ্যশস্য ও খামারজাত পণ্য আমদানি বন্ধ রাখবে সেøাভাকিয়া, তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। তবে সোমবার দেশটির মন্ত্রিসভার বৈঠকে যে তালিকা উত্থাপন করা হয়, তাতে গম, যব, বার্লি, ওটস, ভুট্টা, আখ, সুগার বিট, ফল, সবজি, সূর্যমুখী বীজ, শরষে, মধুসহ বিভিন্ন পণ্যের নাম রয়েছে।

তবে নিজেরা আমদানি আপাতত বন্ধ রাখলেও সেøাভাকিয়ার সীমান্ত হয়ে তৃতীয় কোনো বাজারে ইউক্রেনের খাদ্যশস্য ও খামারজাত পণ্য পরিবহন করা যাবে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ হামলার শুরুর পর কিয়েভকে সহায়তা করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) উদ্যোগের অংশ হিসেবে এ সুযোগ দেবে সেøাভাক সরকার।

রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানের কারণে কৃষ্ণসাগরের কিছু বন্দর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপুল পরিমাণ ইউক্রেনীয় শস্য ইউরোপের মধ্যাঞ্চলের দেশগুলোর বাইরে যেতে পারছিল না। এতে এসব দেশে পণ্যের সরবরাহ অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় পণ্যের দাম কমে যেতে থাকে। তাতে স্থানীয় কৃষকদের ওপর এর প্রভাব পড়ে। প্রসঙ্গত ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত অন্য দেশগুলোয় উৎপাদিত শস্যের চেয়ে ইউক্রেনে উৎপাদিত শস্য তুলনামূলক সস্তা।