এবার কুড়িলে জলাশয় উদ্ধারে ডিএনসিসির অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক: বছিলার পর এবার কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচের জলাধারের জায়গা ভরাট করে নির্মাণাধীন আধাপাকা স্থাপনা ভেঙে দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ওই জলাধারটি বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি হোটেল ও শপিং কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য ইজারা দিয়েছিল। গতকাল সকালে কুড়িল ফ্লাইওভার ও রেললাইন-সংলগ্ন জলাধার পরিদর্শনে যান ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। স্থাপনা ভাঙার কাজ শুরু করার আগে তিনি রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনকে মোবাইল ফোন কল দেন তিনি। পরে ফোন করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালককে।

এ সময় মেয়রকে বলতে শোনা যায়, ‘এখানে ওয়ান পয়েন্ট এইট ফোর একর জমি। এখানে প্রচুর লোকজন জড়ো হয়েছে, তারা সেøাগান দিচ্ছে। সাংবাদিকরা ভর্তি। বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় সম্পত্তি কর্মকর্তা সফিউল্লাহ; সে এটা হোটেল হিলটনকে বরাদ্দ দিয়েছে। মিলেনিয়াম হোল্ডিংস লিমিটেড একটা সাইনবোর্ড করেছে বিরাট বড়… উইদাউট এনি পারমিশন…’ এরপর মিলেনিয়াম হোল্ডিংস লিমিটেডের আধাপাকা স্থাপনা এবং বিলবোর্ড গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দারাও স্থাপনা ভাঙার কাজে যোগ দেয়।

মেয়র আতিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই জায়গাটা যুগ যুগ ধরে একটা জলাশয়। ডিএনসিসি পরিকল্পনা করেছে এই জলাশয়কে ঘিরে একটা নান্দনিক ওপেন স্পেস তৈরি করা হবে। আমরা দেখলাম, হঠাৎ করে রেলওয়ের এক দশমিক ৮৪ একর জমি মিলেনিয়াম হোল্ডিংসকে বরাদ্দ দিয়েছে। একটি ডোবা বা জলাধার কীভাবে বরাদ্দ দিল আমার বোধগম্য নয়। আমি রেলওয়ের ডিজিকে ফোন করলাম, বললামÑএটা জলাশয়। তিনি আমাকে বললেন, ‘স্যার এটা জলাশয়?’ এটা জলাশয় কি না, এটা আপনারা এসে দেখবেন না? এখানে পুরো নিকুঞ্জের পানি জমে। টেবিলে বসে বরাদ্দ দেবেন, সরেজমিনে আসবেন না। আর মানুষ ভোগান্তি পোহাবেন। এটা ভরাট করলে সামনের বর্ষায় পুরো নিকুঞ্জ তলিয়ে যাবে,’ বলেন তিনি। আতিক জানান, এই বরাদ্দ বাতিলের জন্য ডিএনসিসি আইনি লড়াই চালাবে। গত রোববার মোহাম্মদপুরের বছিলায় লাউতলা খালের ওপর গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করে ডিএনসিসি। টানা তিন দিনের অভিযানে বেশ কয়েকটি পাকা স্থাপনা, ট্রাক স্ট্যান্ড উচ্ছেদের পর খাল করে দেয়া হয়।