যুক্তরাষ্ট্রে বিরুদ্ধে পাল্টা প্রস্তাব
শেয়ার বিজ ডেস্ক: গাজা পুনর্গঠনে এবার পরিকল্পনা তৈরি করছে মিসর। দেশটি গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বের না করে অঞ্চলটির পুনর্গঠনে মনোযোগ দেবে। একে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেয়া প্রস্তাবের পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে দেখা হচ্ছে। ট্রাম্প চান, গাজা খালি করে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে নেয়া হোক। খবর: এপি।
মিসরের প্রস্তাবটিতে গাজায় নিরাপদ এলাকা তৈরি করার কথা বলা হয়েছ, যেখানে ফিলিস্তিনিরা প্রাথমিকভাবে বসবাস করবে, যতক্ষণ না মিসরীয় ও আন্তর্জাতিক নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলো গাজার ধ্বংসপ্রাপ্ত অবকাঠামো পুনরুদ্ধার করে। মিসরীয় কর্মকর্তারা এই পরিকল্পনা নিয়ে ইউরোপীয় কূটনীতিকদের পাশাপাশি সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে আলোচনা করছেন। তহবিল সংগ্রহের জন্য একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে।
মিসরের প্রস্তাবের লক্ষ্য হলো ট্রাম্পের ভুল যুক্তিকে খণ্ডন করা এবং গাজার ভৌগোলিক ও জনমিতিক কাঠামো পরিবর্তনের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো। এ পরিকল্পনার মাধ্যমে গাজার জনগণকে নিজেদের ভূমিতে পুনর্বাসন ও উন্নত জীবনযাপনের সুযোগ দেয়া হবে, যা ট্রাম্পের গাজা দখল ও জনশূন্য করার পরিকল্পনার সম্পূর্ণ বিপরীত। মিসরের প্রস্তাবের অন্যতম প্রধান অংশ হলো, একটি নতুন ফিলিস্তিনি প্রশাসন গঠন করা, যা হামাস বা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত হবে না। এছাড়া একটি ফিলিস্তিনি পুলিশ বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যেখানে ২০০৭ সালে গাজায় হামাসের ক্ষমতা দখলের পরও যারা আগের ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অধীনে কাজ করেছিল, তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এতে মিসরীয় ও পশ্চিমা প্রশিক্ষিত বাহিনীও অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। যদি গাজায় কোনো আরব বাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি সামনে আসে, তবে আরব দেশগুলো তখন সম্মত হবে।
উল্লেখ্য, গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্ব আগামী মার্চের শুরুতে শেষ হতে যাচ্ছে। যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে ইসরায়েল ও হামাসকে আলোচনা করতে হবে, যার মধ্যে হামাসের কাছে আটক সব বন্দির মুক্তি, ইসরায়েলের সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার এবং যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তির মতো বিষয় রয়েছে। তাই বলা হচ্ছে, কোনো পুনর্গঠন পরিকল্পনাই সফল হবে না, যদি এ চুক্তিতে গাজার ভবিষ্যৎ শাসন ব্যবস্থার বিষয়টি স্পষ্ট না করা হয়।ইসরায়েলের দাবি, হামাসকে গাজার রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তি হিসেবে সম্পূর্ণ নির্মূল করতে হবে। তাছাড়া হামাস ক্ষমতায় থাকলে কোনো পুনর্গঠন তহবিল দিতে অনীহা প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক দাতারা।