এবার বিপিএলে পাঁচ বিদেশি!

 

 

ক্রীড়া ডেস্ক: এক বছরের বিরতি দিয়ে আগামী ৪ নভেম্বর মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। গতকাল বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল চেয়ারম্যান আফজালুর রহমান সিনহা এমনটাই জানিয়েছেন। তবে সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানিয়েছেন, এবারের আসরে প্রতিটি দলে চার, এমনকি পাঁচজন বিদেশি ক্রিকেটার থাকতে পারেন একাদশে, যা কিছুটা হলেও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সংবাদিকদের চমকে দিয়েছিলো।

এ নিয়ে ইসমাইল হায়দার বলেন, ‘এবার চার, এমনকি পাঁচজন বিদেশি খেলোয়াড় থাকতে পারেন একাদশে। এটা অবশ্য ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে কথা বলে পরে চূড়ান্ত করা হবে।’

এবারের বিপিএলে দল থাকছে ৮টি। তবে এর সংখ্যাটা কম হতেও পারে। যদি দল বাড়ে সে পরিমাণ নাকি স্থানীয় প্রতিভা বাংলাদেশের নেই, যে কারণে বিপিএল পঞ্চম আসরে একাদশে পাঁচজন বিদেশি খেলানো হতে পারে। এ নিয়ে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, ‘চার-পাঁচটা ফ্র্যাঞ্চাইজি আবেদন করেছে। যদি একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি দল এবার বাড়ে, ওই পরিমাণ স্থানীয় প্রতিভা আমাদের নেই, যারা এত বড় টুর্নামেন্টে নিজেদের মেলে ধরতে প্রস্তুত। ভারতে যে পরিমাণ প্রতিভা আছে, বাংলাদেশে এখনও সেটা খুঁজে পাইনি। আমরা  যদি আটটা দল করি, তাহলে আরও সাত-আটজন স্থানীয় খেলোয়াড়ের সরবরাহ থাকতে হবে।’

এদিকে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে প্রতি বছর খেলে থাকে ১২টি দল। সেখানে ঠিকই স্থানীয় ক্রিকেটাররা খেলে থাকেন, প্রতিদ্বন্দ্বি^তা করে থাকেন। তাহলে কেন বিপিএলে স্থানীয়রা সুযোগ পাবে না? এমন প্রশ্নের জবাবে ইসমাইল বললেন, ‘একটা ৫০ ওভার, আরেকটা ২০ ওভারের খেলা। প্রিমিয়ার লিগের ১২টা দলই সমান? নিচের চারটা দল ওপরের ছয়-সাতটা দলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বি^তা করতেই পারে না। পয়েন্ট তালিকা দেখেন, কীভাবে বলছেন, ওখানে খুব প্রতিদ্বন্দ্বি^তা হয়?’

এখন পর্যন্ত বিপিএলে চারজন বিদেশি ক্রিকেটার খেলার নিয়মটা থাকছে। একাদশে পাঁচজন বিদেশি ক্রিকেটার খেলোনোর ব্যাপারটি নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে সামনে আলাপ করে চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন ইসমাইল হায়দার।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের পঞ্চম আসরের প্লেয়ার ড্রাফট অনুষ্ঠিত হবে ১৬ সেপ্টেম্বর। এরপর ২ নভেম্বর মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে হবে জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। খেলা হবে তিনটি ভেন্যুতে। ঢাকা-চট্টগ্রামের সঙ্গে এবার বিপিএলের নতুন ভেন্যু সিলেট। ভালোমানের হোটেল না থাকায় সেখানে অল্প কিছু ম্যাচ আয়োজন করতে পারে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।