নিজস্ব প্রতিবেদক: আইপিওতে বুক বিল্ডিং পদ্ধতির সংশোধন চেয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) নতুন পরিচালনা পর্ষদ। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ক্রয়ে দর প্রস্তাবের বিষয়টি সংশোধনের কথা পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) বলেছে সিএসই। এর আগে বিনিয়োগকারী ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পক্ষ থেকেও বিএসইসিতে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
গতকাল রোববার আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটি কমিশন ভবনে বিএসইসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে সিএসইর নতুন পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে শেষে শেয়ার বিজকে এ তথ্য জানান সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার।
তিনি বলেন, আইপিওর বুক বিল্ডিং পদ্ধতি সংশোধন করতে কমিশনকে আমরা অনুরোধ করেছি। কমিশন বিষয়টি বিবেচনা করবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছে। বর্তমান পদ্ধতিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের যেভাবে শেয়ার বিতরণ করা হয়, তা যথাযথভাবে হচ্ছে না বলে আমরা মনে করি।
উল্লেখ্য, বুক বিল্ডিং আইনের সর্বশেষ সংশোধন হয় ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর। সংশোধনীতে আইপিওতে প্রিমিয়াম চাইলেই বুক বিল্ডিং পদ্ধতি অনুসরণের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়। দর নির্ধারণের সর্বনিম্ন সীমা আরোপ করা হলেও সর্বোচ্চ সীমা রাখা হয়নি।
স্টক এক্সচেঞ্জের কৌশলগত বিনিয়োগকারী (স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার) প্রসঙ্গে সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, নির্ধারিত সময়ে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার খুঁজে না পাওয়ায় আমরা সময় বাড়ানোর আবেদন করেছিলাম। যার প্রেক্ষিতে এক বছর সময় বাড়ানো হয় এবং এর মেয়াদ আছে চলতি বছর জুন পর্যন্ত। একটি কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা এবং কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে। এটা অনেক বড় একটা ব্যাপার। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এবং আমাদের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে।
সিএসইর নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ড. এ কে আবদুল মোমেনের নেতৃত্বে বৈঠকে সিএসইর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক মেজর জে মোহাম্মদ শামিম চৌধুরী, প্রফেসর মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ড. মোহাম্মদ আইয়ুব ইসলাম, ড. মনিরুল ইসলাম মাহমুদ, প্রফেসর এসএম সালামত উল্লাহ ভূঁইয়া, মো. শামসুল ইসলাম, প্রদীপ পাল, মির্জা সালমান ইস্পাহানী, সামসুল ইসলাম, মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার, কোম্পানি সচিব রাজীব শাহা। বিএসইসির পক্ষে ছিলেন- চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেনসহ কমিশনার ও নির্বাহী পরিচালকরা।
বৈঠকে সিএসইর ব্যবসা উন্নয়ন, স্বল্প মূলধনী বাজারের প্লাটফর্ম বাস্তবায়ন, কিছু নিটিং সুবিধা ও সিএসইর অন্যান্য বাবসায়িক সুযোগের বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানান সাইফুর রহমান মজুমদার।
১২ ফেব্রুয়ারি সিএসইর স্বতন্ত্র পরিচালক পদে ৭ জনের নাম চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। স্বতন্ত্র পরিচালকেরা হলেন- জাতিসংঘে বাংলাদেশের বিদায়ী স্থায়ী প্রতিনিধি ড. একে আবদুল মোমেন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ শামীম চৌধুরী (এনডব্লিউসি, পিএসসি), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মমতাজ উদ্দিন আহমেদ (এফসিএমএ), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আয়ুব ইসলাম, ব্যবসায়ী ড. মইনুল ইসলাম মাহমুদ, প্রফেসর এসএম সালামত উল্লাহ ভূঁইয়া ও প্রদীপ পাল (এফসিএমএ, এফসিএ)। এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি সিএসইর পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে স্বতন্ত্র পরিচালকদের মধ্যে থেকে সাবেক আমলা ও কূটনীতিক ড. একে আবদুল মোমেনকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়।