এবার ব্রোকারেজের শেয়ার ধারণের তথ্য চেয়ে চিঠি

আতাউর রহমান:দেশের পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান ট্রেকহোল্ডার কোম্পানি বা ব্রোকারেজ হাউসের ব্যাক-অফিস সফটওয়্যারে ধারণকৃত শেয়ারের অবস্থান জানাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ব্রেকারেজ হাউসগুলোকে প্রতি প্রান্তিক শেষ হওয়ার ১০ কার্যদিবসের মধ্যে এ-সংক্রান্ত তথ্য নির্দিষ্ট নিয়ম বা ফরম্যাটে স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে ব্রোকারেজের ডিপজিটরিতে থাকা শেয়ার ধারণের তথ্য জমা দিতে বলেছে। সম্প্রতি এ বিষয়ে জানিয়ে কোম্পানিগুলোর কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।

এ বিষয়ে ব্রোকারেজগুলোকে ২০২১ সালের ১ এপ্রিল ডিএসইর দেয়া চিঠি এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ২০২০-এর বিধি ৭ এবং পূর্বের বিধি ৭(২) অবহিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ৩০ জুন শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকে ব্রোকারেজের শেয়ার ধারণের তথ্য জমা দেয়ার বিষয়ে জানিয়ে ডিএসইর চিঠিতে বলা হয়েছে, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলসে রয়েছে, প্রত্যেক স্টক ব্রোকার সময় সময়ে এক্সচেঞ্জের নির্ধারিত একটি ফর্মে তার ব্যাক-অফিসে ধারণ করা সিকিউরিটিজের সবশেষ অবস্থা এবং একই সঙ্গে ডিপোজিটরিতে থাকা সিকিউরিটিজ ধারণের তথ্য স্টক এক্সচেঞ্জে এ সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় নথিসহ জমা দেবে। সেক্ষেত্রে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে প্রতি প্রান্তিক শেষ হওয়ার দশ কার্যদিবসের মধ্যে এ তথ্য জমা দেয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে।

তাই এ বিষয়ে ব্রোকারেজ ও ডিপজিটরির শেয়ার ধারণ তথ্যের একটি প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ৩০ জুন শেষ হওয়া প্রান্তিকে ব্যাক-অফিসে থাকা সিকিউরিটিজের সঙ্গে ডিপজিটরির সিকিউরিটিজ ধারণের বর্তমান অবস্থার তথ্য স্টক এক্সচেঞ্জের দেয়া নির্ধারিত ফরম্যাটে এ বিষয়ে সম্পর্কিত সহায়ক নথিসহ এমএস এক্সেল এবং পিডিএফ উভয় ফরম্যাটে ই-মেইলের মাধ্যমে ১৩ জুলাইয়ের মধ্যে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে পরবর্তী প্রতি ত্রৈমাসিক শেষ হওয়ার পর একইভাবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে পুঁজিবাজারে গত কয়েক বছরে কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউস বন্ধ হয়ে যায় এবং গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটে। সেই সঙ্গে অনেক ব্রোকারেজ হাউসকে ডুপ্লিকেট ব্যাক-অফিস সফটওয়্যার ব্যবহার করতে দেখা যায়। যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকের টাকা নয়ছয় করে আত্মসাৎ করে বলে জানা যায়। এ ঘটনার পর ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই-সিএসই) সব ব্রোকারেজ হাউস পরিদর্শন ও তদন্তের নির্দেশনা দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরই ধারবাহিকতায় প্রতি প্রান্তিকে সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের (সিসিএ) তথ্য সব ব্রোকারেজ হাউসের কাছ থেকে নেয় স্টক এক্সচেঞ্জ। সেই সঙ্গে ব্রোকারেজ হাউসগুলোর ব্যাক-অফিস সফটওয়্যার ব্যবহার পর্যবেক্ষণ শুরু করে স্টক এক্সচেঞ্জ। এরই ধারবাহিকতায় ব্রোকারেজ ও ডিপজিটরিতে থাকা শেয়ারের তথ্য প্রতি প্রান্তিকে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।