এমজেএল বাংলাদেশের ঋণমান ‘এএএ’ ও ‘এসটি-১’

নিজস্ব প্রতিবেদক: তেল ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি এমজেএল বাংলাদেশ পিএলসিরঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (ক্রিসেল)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যমতে, কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএএ’ এবং স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-১’। ৩০ জুন ২০২৪ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে। ‘এ’ ক্যাটেগরির এই কোম্পানিটি ২০১১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩১৬ কোটি ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভে রয়েছে ১ হাজার ২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৩১ কোটি ৬৭ লাখ ৫২ হাজার ২৭টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের ৭১ দশমিক ৫২ শতাংশ উদ্যোক্তা বা পরিচালক, প্রতিষ্ঠানিক বিনেয়াগাকারীদের কাছে ২০ দশমিক ৯৩ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ১ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬ দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৪) এমজেএল বাংলাদেশের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৪৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ২ টাকা ৭০ পয়সা। গত ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫১ টাকা ৪৬ পয়সায়। এছাড়া আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২ টাকা ৮৫ পয়সা। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৮ টাকা ৭১ পয়সা।

গত ২০২৪ সালের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৮ টাকা ৩ পয়সায়। এছাড়া আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৪ টাকা ৭৯ পয়সা। এর আগে ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৮ টাকা ৭৩ পয়সা, আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ৬ টাকা ৩৬ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ২৭ পয়সায়। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ৩৬ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪০ টাকা ৫৫ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ২৮ পয়সা। এর আগে ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ৫৩ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৯ টাকা ৬৯ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৮ টাকা ২৪ পয়সা।

এদিকে ডিএসইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১ দশমিক ১৭ শতাংশ বা ১ টাকা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৯৩ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে কোম্পানিটির ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯টি শেয়ার মোট ৪৪২ বার হাতবদল হয়। তবে গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৬৭ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১০৭ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।