নিজস্ব প্রতিবেদক: ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি এমবি ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসির ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে আরগুস ক্রেডিট রেটিং সার্ভিসেস লিমিটেড (এসিআরএসএল)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটি দীর্ঘমেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এ’ আর স্বল্প মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এসটি-২’। ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ মূল্যায়ন করা হয়েছে কোম্পানিটিকে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির শেয়ার দর ১ দশমিক ০৪ শতাংশ বা ৮ টাকা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৭৮৬ টাকায় লেনদেন হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর শেয়ারটির দর সর্বনি¤œ ৭৭০ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৭৮৮ টাকায় ওঠানামা করে। এ দিন কোম্পানিটির ৬ হাজার ২৪৪টি শেয়ার ১৭০ বার হাতবদল হয়, যার বাজার দর ৪৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর ১ হাজার ৩০২ টাকা ৩০ পয়সা ও সর্বনি¤œ ৫১১ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিটি ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৩০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের সংখ্যা ২৪ লাখ। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে ৭৭ দশমিক ২৫ শতাংশ উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে, ৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে এবং বাকি ১৩ দশমিক ৮১ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে।
চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এমবি ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি। অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গেছে, চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৭০ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ১০ পয়সা। অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০২৩-মার্চ, ২০২৪) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৩৪ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম তিন প্রান্তিকের হিসাবে শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৬৬ পয়সা। এছাড়া ২০২৪ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ২৩ পয়সা, যা ২০২৩ সালের ৩০ জুনে ছিল ৯ টাকা ৭৩ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১২ টাকা ২১ পয়সা (ঘাটতি)। ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৭৯ পয়সা এবং ২০২৩ সালের ৩০ জুনে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৭৩ পয়সা। আর আলোচিত হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৪ টাকা ৬৮ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৩৬ পয়সা আর ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৯৬ পয়সা। কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৪২ পয়সা (লোকসান) এবং ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৬৮ পয়সা। আর আলোচিত হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২ টাকা ৭৭ পয়সা (ঘাটতি)।