শেয়ার বিজ ডেস্ক: তুরস্কে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকের আমানত নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান গতকাল আমানত রক্ষায় বেশ কয়েকটি প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে লিরার দাম। খবর: আল জাজিরা।
কয়েক মাস ধরেই তুরস্কে মুদ্রাস্ফীতি রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। এতে দেশটিতে দেখা দিয়েছে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা। ভোগ্য পণ্যসহ সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়েছে। এসব কারণে দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যায়। এতে ব্যাংকগুলোর ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ব্যাংকে গচ্ছিত আমানত নিয়ে দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। ঠিক এমন সময় আশার কথা শোনালেন প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়েপ।
ভাষণে ইসলামিক আর্থিক নীতি না বদলানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ইসলামকে অনুসরণ করেই সুদের হার কম করা হবে।
এর আগে মার্কিন ডলারের বিপরীতে লিরার ব্যাপক দরপতন হয়। গত সোমবার মার্কিন এক ডলারের বিপরীতে লিরার মূল্য ছিল সর্বনি¤œ ১৮ দশমিক ৩৬, যা দেশটির ইতিহাসে রেকর্ড পতন ছিল। তবে পরদিন সকালে লিরার দাম বেড়ে ১১ দশমিক শূন্য ৯ হয়। কিছুক্ষণ পর তা হয় ১৩ দশমিক ৭৫। অর্থাৎ ডলারের বিপরীতে লিরার দাম বাড়ছে।
দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত সেপ্টেম্বরে সুদের হার কমায়। এরপর শুরু হয় বিপত্তি। কয়েক সপ্তাহ ধরে লিরার রেকর্ড দরপতন হয়েছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে লিরার দরপতনে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, বিনিময় হার বেশি পাওয়ার জন্য নাগরিকদের আমানত তুর্কি লিরা থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় পরিবর্তন করতে হবে না। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সাহায্য ও পেনশন তহবিলে আরও অর্থ দেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। এরদোয়ান সব সময়ই উচ্চ সুদহারের বিরুদ্ধে। তিনি মনে করেন, এর ফলেই মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যায়।
দেশটির অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আমানতকারীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য অসাধারণ এ পদক্ষেপটি নেয়া হয়েছে। কারণ অনেকে তাদের আমানত বিদেশি মুদ্রায় রূপান্তর ও স্বর্ণ মজুত করছেন।