নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১৮ দশমিক ১৪ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে শেয়ারদর ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ বা ৪ টাকা ৬০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৫০ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৭৯ লাখ ৭৮ হাজার ৫১৫টি শেয়ার মোট ১০ হাজার ১৫৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৩৯ কোটি ২২ লাখ ১০ হাজার টাকা। এদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৪৫ টাকা ৬০ পয়সা ও সর্বোচ্চ ৫০ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের এ কোম্পানিটি ২০২৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এন’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১২২ কোটি ৩৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ১২ কোটি ২৩ লাখ ৯৩ হাজার ৪৫৫ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৪০ দশমিক ৭১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪৩ দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ার।
এর পরের অবস্থানগুলোয় থাকা যথাক্রমে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৭ দশমিক ৯১ শতাংশ। এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ দশমিক ৫১ শতাংশ বা ৯০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৩৪ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ৩৪ টাকা ৯০ পয়সা। দিনজুড়ে ৯ লাখ ৬৮৮টি শেয়ার মোট এক হাজার ২৬৪ বার হাতবদল হয়। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৩৪ টাকা ৩০ পয়সা এবং সর্বোচ্চ ৩৬ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়। আর গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৫ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪৯ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
প্রকৌশল খাতের এ কোম্পানিটি ২০১১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৬১ কোটি ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ৬ কোটি ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ১৫০ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৫২ দশমিক ৭২ শতাংশ শেয়ার।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের ২ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশবন্ধু পলিমার। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৯ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ২০ পয়সায়।
সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরের জন্য উদ্যোক্তা পরিচালক বাদে শুধু সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে দেশবন্ধু পলিমার। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪৭ পয়সা। আগের হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ২০ পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৮ টাকা ২১ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৮ টাকা ৭ পয়সা।
এসইএমএল লেকচার ইকুয়িটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডের ইউনিটদর বেড়েছে ১৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ। আইসবি এএমসিএল সিএমএসএফ গোল্ডেন জুবিলী মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটদর বেড়েছে ১৫ শতাংশ। প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ। স্যালভো কেমিক্যালস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৪ দশমিক ০৭ শতাংশ। ফু ওয়াং ফুড লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। তাওফিকা ফুডস অ্যান্ড লাভেলো আইসক্রিম পিএলসির শেয়ারদর বেড়েছে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ। এছাড়া বিডি থাই ফুড লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১১ দশমিক ৬৭ পয়সা।