এশিয়ায় গুচির বিক্রি ২০ শতাংশ কমতে পারে

 

শেয়ার বিজ ডেস্ক: এশিয়ায় অর্থনীতির ধীরগতির কারণে বছরের প্রথম প্রান্তিকে বিলাসবহুল ব্র্যান্ড গুচির বিক্রি ২০ শতাংশ কমে যেতে পারে বলে জানিয়েছে ব্র্যান্ডটির প্যারিসভিত্তিক মালিক প্রতিষ্ঠান কেরিং। খবর: বিবিসি।

অন্যদিকে এলভিএমএইচ ও হার্মেস’র বিক্রি একই আছে। প্রতিদ্বন্দ্বী ব্র্যান্ড হিসেবে গুচি’র জন্য বিষয়টি উদ্বেগের।

ব্র্যান্ডটির বাজার গত কয়েক দশকে বাড়লেও সাম্প্র্রতিক বছরগুলোয় প্রত্যাশিত আকারে বিক্রি হয়নি। বর্তমানে চীনের অর্থনীতি নিম্নমুখী। গুচি পণ্য বিক্রির এক-তৃতীয়াংশের বেশি আসে চীন থেকে।

গত বছর গ্রুপ পরিচালনা আয়ের দুই-তৃতীয়াংশ ছিল গুচির। কেরিংয়ের অন্যান্য ব্র্যান্ডের মধ্যে রয়েছে ‘ইয়ভেস সেন্ট লরেন্ট’, ‘বালেনসিয়াগা’ ও ‘বোটেগা ভেনেটা’। গ্রুপ পরিচালনা আয়ে তাদের নিট মুনাফা কমেছে ১৭ শতাংশ। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ২৩ শতাংশের বেশি।

গুচির বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ‘লুই ভিটন’, ‘মোয়েট অ্যান্ড চ্যান্ডন’ এবং ‘হেনেসি’-এর মালিক ‘এলভিএমএইচ’। কোম্পানিটি ২০২৩ সালে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বিক্রি করে। হার্মেসও গত বছর বিশ্বব্যাপী সব কর্মচারীদের বোনাস দিয়ে পুরস্কৃত করার পরিকল্পনা নিয়ে তাদের রেকর্ড বার্ষিক বিক্রি উদযাপন করে।

কেরিং এক বিবৃতিতে জানায়, মুনাফার এই সতর্কবার্তায় এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে গুচির বিক্রি কমে যেতে দেখা গেছে। আগামী ২৩ এপ্রিল গুচির আর্থিক বিবরণী প্রকাশ করার কথা রয়েছে।

গত বছর কেরিং গুচি’র শীর্ষ ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন এনে জ্যঁ-ফ্রাঁসোয়া পালাসকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সাবাতো দে সারনোকে এর ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ দেয়।

গুচির ‘অ্যানকোরা কালেকশনের’ প্রথম আইটেমগুলো ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে বাজারে আসে। কেরিং ওই সময় এক বিবৃতিতে জানায়, অ্যানকোরা কালেকশনকে ক্রেতারা বেশ সাদরে গ্রহণ করেছে। তাদের প্রধান ক্রেতা অল্পবয়সীরা। মূলত তাদের লক্ষ্য রেখেই নতুন পণ্য বাজারে আনা হয়।