Print Date & Time : 12 September 2025 Friday 1:02 pm

এশিয়ায় প্রথম শিশুদের টিকা দিচ্ছে সিঙ্গাপুর

শেয়ার বিজ ডেস্ক: এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের কভিড টিকা দেয়া শুরু করেছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুর। গতকাল মঙ্গলবার থেকে দেশটিতে শুরু হয়েছে এ টিকাদান কার্যক্রম। খবর: রয়টার্স।

দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফাইজার-বায়োএনটেক ও মডার্নার করোনা টিকা এ কর্মসূচিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি করোনা টেস্টিং ও ট্রেসিংও বাড়ানো হয়েছে। কর্মকর্তারা আরও জানান, সম্প্রতি দেশটির কয়েকজন স্কুলশিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

কভিড মোকাবিলায় এ পর্যন্ত বিশ্বের যে কয়েকটি দেশের সাফল্য সবচেয়ে বেশি, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম সিঙ্গাপুর। দেশটির মোট জনসংখ্যা বর্তমানে পাঁচ কোটি ৭০ লাখ। স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান বলছে, সিঙ্গাপুরের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশই করোনা টিকার অন্তত প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন।

সিঙ্গাপুরের কয়েকজন স্কুলশিক্ষার্থীর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে গত সোমবার টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি হিসিয়েন লুং বলেন, ‘বিষয়টি উদ্বেগজনক। এরই মধ্যে আমরা দেশের অধিকাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে পেরেছি; সংক্রমণ পরিস্থিতিও অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আছে। এটি যেন আর না বাড়তে পারে, সেজন্য টিকাদানের পাশাপাশি ট্রেসিং, টেস্টিং ও আইসোলেশন প্রক্রিয়ায় আমাদের মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন এবং এই কাজগুলো এখন থেকেই শুরু করা উচিত।’

সিঙ্গাপুরের জাতীয় দিবস ৯ আগস্ট। প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের জাতীয় দিবসের আগেই দেশের সব প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক যেন টিকার অন্তত প্রথম ডোজ লাভে সক্ষম হন, সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।

সিঙ্গাপুরে টিকাদান কর্মসূচিতে এ পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়েছে ফাইজার-বায়োএনটেক ও মডার্নার করোনা টিকা। তবে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী অং ইয়ে কুং বলেন, সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ পর্যন্ত যে করোনার টিকাগুলোকে জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে, সেগুলোও এখন থেকে টিকাদান কর্মসূচিতে ব্যবহার করা হবে।

অর্থাৎ ফাইজার-বায়োএনটেক ও মডার্নার পাশাপাশি জনসন অ্যান্ড জনসন, অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও সিনোফার্মের করোনা টিকাও এখন থেকে গ্রহণ করতের পারবেন টিকা নিতে ইচ্ছুকরা।

তিনি আরও জানান, তারা এখন চীনের অপর করোনা টিকা সিনোভ্যাকের স্বীকৃতির জন্য অপেক্ষা করছেন। দেশটিতে বর্তমানে দুই লাখ ডোজ সিনোভ্যাক টিকা মজুত আছে, কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখন পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজনে এই টিকাটির ব্যবহার অনুমোদন না করায় টিকাদান কর্মসূচিতে তারা সিনোভ্যাকের ডোজগুলো ব্যবহার করতে পারছেন না।