নিজস্ব প্রতিবেদক: অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কভিড-১৯ টিকার প্রথম ডোজ নেয়া নাগরিকদের শিগগির কেন্দ্রে গিয়ে দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে বলেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এজন্য এসএমএসের অপেক্ষায় থাকতে হবে না।
‘যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করে আছেন, তারা নিকটবর্তী কেন্দ্রে যোগাযোগ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করুন,’ গতকাল সোমবার এমনটাই বলা হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সেন্টার-এমআইএসের এক জরুরি ঘোষণায়।
এমআইএসের পরিচালক ও এইচআইএস অ্যান্ড ই-হেলথের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, ‘দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার জন্য (নাগরিকদের) এসএমএস পাওয়ার কথা। যদি না পায় তাহলেও কেন্দ্রে যাবে। টিকা কার্ডটা নিয়ে গিয়ে বলতে হবে ফার্স্ট ডোজ নিয়েছি। তাহলেও টিকাদান কর্মীরা টিকা দিয়ে দেবে।’
দেশে ৭ ফেব্রুয়ারি গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয় ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেয়ার মধ্য দিয়ে।
প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে তিন কোটি ডোজ টিকা কেনার চুক্তির পর দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়া যায়। এছাড়া ভারত সরকারের উপহার হিসেবে আরও ৩২ লাখ ডোজ টিকা পায় বাংলাদেশ।
এরপর ভারত সরকার রপ্তানি বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশ বেকায়দায় পড়ে। ফলে টিকাদান কর্মসূচিতে প্রথম ডোজ দেয়া ২৫ এপ্রিল থেকে বন্ধ করে দিতে হয়। একপর্যায়ে দ্বিতীয় ডোজ টিকাদানও বন্ধ করে দেয়া হয়।
সিনোফার্মের টিকা আসার পর দ্বিতীয় দফায় টিকাদান কার্যক্রম আবার চালু হয় গত ১৯ জুন। তবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ নেয়া ১৫ লাখ ২১ হাজার ৯৪৭ জন দ্বিতীয় ডোজ থেকে বাদ পড়েছিলেন।
কোভ্যাক্স সহায়তায় ২৪ জুলাই জাপান থেকে দুই লাখ ৪৫ হাজার ২০০ ও ৩১ জুলাই সাত লাখ ৮১ হাজার ৩২০, ৬ আগস্ট ছয় লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ ও ২১ আগস্ট সাত লাখ ৮১ হাজার ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কভিড টিকা দেশে এসেছে।
জাপান থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এসব টিকা আসার পর আগস্টের প্রথম সপ্তাহে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেবে, ২২ আগস্ট পর্যন্ত ৫৮ লাখ ২৫ হাজার ২৬৩ জন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৫১ লাখ ৯০ হাজার ৭৫৯ জন।