খন্দকার আপন হোসাইন: মাধ্যমিক শিক্ষার সমাপনী হিসেবে এসএসসি পরীক্ষা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত একটি শিক্ষা মূল্যায়ন পদ্ধতি। এই পরীক্ষার সূচনা এবং এর ক্রমবিকাশের ইতিহাস শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নের চমৎকার দৃষ্টান্ত। ইতিহাস বলে, প্রাতিষ্ঠানিক মাধ্যমিক পরীক্ষার সূচনা হয়েছিল ব্রিটেনে। ১৮৫৮ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ধনী পরিবারের সন্তানদের জন্য ‘সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট’ বা এসএসসি পরীক্ষা চালু করেছিল। সে সময় পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা ছিল অত্যন্ত সীমিত এবং পরীক্ষার বিষয়বস্তুও ছিল সংকীর্ণ। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলে এই পরীক্ষা পদ্ধতি ভারতীয় উপমহাদেশে প্রবর্তিত হয়। ১৮৬৪ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে এই অঞ্চলে প্রথম মাধ্যমিক পরীক্ষার সূচনা হয়। বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব বাংলা) এই পরীক্ষা চালু হয় ১৯২১ সালে ‘ম্যাট্রিকুলেশন’ নামে। বর্তমান সময়ের এসএসসি পরীক্ষার সঙ্গে তার আদিরূপের তুলনা করলে বেশ কিছু মৌলিক পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। যেমন সে সময় পরীক্ষা ছিল সম্পূর্ণ মুখস্থবিদ্যানির্ভর। বর্তমানে সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতি চালু হয়েছে। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ও পরীক্ষাকেন্দ্রের ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। প্রযুক্তির ব্যবহারে পরীক্ষা পরিচালনা ও ফলাফল প্রকাশের পদ্ধতিতে আমূল পরিবর্তন এসেছে।
আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন দেশে মাধ্যমিক পরীক্ষার ধরন ভিন্ন। জাপানে এই পরীক্ষা অত্যন্ত কঠিন হলেও পাসের হার ৯৯ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রে এসএসসির মতো কেন্দ্রীয় পরীক্ষা না থাকলেও স্কুলপর্যায়ে ধারাবাহিক মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু রয়েছে। জার্মানিতে মাধ্যমিক শেষে ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী ভোকেশনাল শিক্ষায় যায়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এসএসসি পরীক্ষার বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। নকল রোধ, পরীক্ষার মান উন্নয়ন, গ্রাম-শহরের বৈষম্য দূরীকরণ ও কোচিংনির্ভরতা কমানো প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত। তবে ডিজিটাল মার্কিং পদ্ধতি চালু, প্রশ্নফাঁস রোধ ও সৃজনশীল পদ্ধতি প্রবর্তনের মাধ্যমে ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে। ভবিষ্যতে এসএসসি পরীক্ষা আরও বেশি ব্যবহারিক ও দক্ষতাভিত্তিক হয়ে উঠবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। অনলাইন পরীক্ষা পদ্ধতি, ধারাবাহিক মূল্যায়ন ও প্রজেক্টভিত্তিক শিক্ষা এই পরীক্ষার ধারাকে বদলে দিতে পারে। তবে যেকোনো পরিবর্তনেই শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য অর্থাৎ জ্ঞান অর্জন ও মানবিক মূল্যবোধ সৃষ্টির বিষয়টি অক্ষুণ্ন রাখা জরুরি। শিক্ষাব্যবস্থার এই গুরুত্বপূর্ণ ধাপটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিবর্তিত হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও হতে থাকবে। কিন্তু এর মৌলিক উদ্দেশ্য (শিক্ষার্থীদের মেধা ও যোগ্যতা মূল্যায়ন) সবসময়ই অপরিবর্তিত থাকবে।
আগামী ১০ এপ্রিল থেকে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। মাত্র কয়েক দিন বাকি। এই মুহূর্তে সারাদেশের লক্ষাধিক শিক্ষার্থী দিন-রাত এক করে পড়াশোনায় মগ্ন। এসএসসি পরীক্ষাকে কেবল শিক্ষাগত মূল্যায়ন বলা চলে না। শিক্ষাজীবনের প্রথম বড় চ্যালেঞ্জ এর নাম এসএসসি পরীক্ষা। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পূর্বপ্রস্তুতি, সঠিক পদ্ধতি ও মানসিক স্থিরতাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী, ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এই পরীক্ষা চলবে মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। অল্প সময়ে কীভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যায়, তা নিয়ে চিন্তিত অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন সিলেবাস শেষ করে রিভিশন দেওয়ার প্রকৃত সময় এখনই। প্রতিদিন নিয়মিত পড়াশোনা, গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো বারবার রিভাইজ দেওয়া এবং মডেল টেস্ট দেওয়ার মাধ্যমে নিজেকে যাচাই করা জরুরি। এখন যতটা সময় আছে এর মধ্যেই সিলেবাস দেখে প্রতিদিনের পড়া ভাগ করে নিতে হবে। কঠিন বিষয় যেমন গণিত, ইংরেজি বা বিজ্ঞানের মতো বিষয়ে দুর্বলতা থাকলে এখনই সেগুলোয় জোর দিতে হবে। সুযোগ থাকলে বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করে জটিল বিষয়গুলো বুঝে নিতে হবে। বিগত বছরের প্রশ্ন ও সৃজনশীল মডেল টেস্ট সমাধান করতে হবে। এতে সময় ব্যবস্থাপনা ও আত্মবিশ্বাস বাড়বে। পর্যাপ্ত ঘুম, পুষ্টিকর খাবার এবং হালকা ব্যায়াম মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি স্বাস্থ্যের দিকেও নজর রাখতে হবে। অতিরিক্ত চাপ না নিয়ে ধ্যান, সংগীত বা হাঁটার মাধ্যমে নিজেকে স্থির রাখতে হবে।
গবেষণায় এসেছে, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা শেষ মুহূর্তে গাইড বই ও নোটের ওপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে যায়। কিন্তু ফিনল্যান্ড বা জাপানের শিক্ষার্থীরা সারা বছর ধরে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রস্তুত হয়। তাদের পরীক্ষার ভীতি কম। কারণ তাদের শিক্ষাব্যবস্থায় রুট মেমোরাইজেশন নয়, বোঝার ওপর জোর দেওয়া হয়। বাংলাদেশেও সৃজনশীল পদ্ধতি চালু আছে, কিন্তু এখনো অনেক শিক্ষার্থী গাইড বইনির্ভর। শিক্ষার্থীদের প্রতি শিক্ষক ও অভিভাবকদের সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ। শেষ সময়ে শিক্ষার্থীদের বাড়তি চাপ না দিয়ে উৎসাহ দেওয়া প্রয়োজন। অনেক সময় অভিভাবকদের উচ্চ প্রত্যাশা শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ বাড়িয়ে দেয়। এখন অনেক শিক্ষার্থীই অনলাইনে লেকচার, মডেল টেস্ট ও নোটসের সহায়তা নিচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম বিনা মূল্যে কোচিং সুবিধা দিচ্ছে। ইন্টারনেটের সুবিধা থাকলে এসব রিসোর্স কাজে লাগানো যেতে পারে। এসএসসি পরীক্ষা জীবনের শেষ নয়, এটি একটি শুরু। এই পরীক্ষা পাস করেই হাজারো শিক্ষার্থী এগিয়ে যায় নতুন স্বপ্নের দিকে। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এখনও অনেক ঘাটতি আছে। কিন্তু পরিবর্তনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। শিক্ষাজীবনে কিছু মুহূর্ত থাকে যেগুলো ভবিষ্যতের গতিপথ নির্ধারণ করে দেয়। এসএসসি পরীক্ষা তেমনই একটি সন্ধিক্ষণ, একটি যাত্রা, একটি সংগ্রাম ও স্বপ্নের বীজ বপনের সময়। বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীর জীবনে এই পরীক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু এই গুরুত্ব শুধু বাংলাদেশেই নয় সারা বিশ্বেই বিদ্যমান। তবে পদ্ধতিতে আছে বিস্তর ফারাক। বাংলাদেশে এসএসসি পরীক্ষাকে প্রথম বড় অর্জন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নেয়। এই সংখ্যার পেছনে লুকিয়ে আছে হাজারো গল্প। গ্রামের একটি ছেলে সারারাত জেগে কেরোসিন ল্যাম্পের আলোয় বই পড়ে। শহরের একটি মেয়ে কোচিং আর প্রাইভেট টিউটরের চাপে ক্লান্ত। এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য অনেক। তবুও দুজনেই একই পরীক্ষার মুখোমুখি হয়। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এখনও বৈষম্য প্রকট। শহরের স্কুলগুলোয় ল্যাব, লাইব্রেরি ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম আছে। অন্যদিকে গ্রামের অনেক স্কুলে এখনও পর্যাপ্ত বই, শিক্ষক বা বিদ্যুতের অভাব রয়েছে।
সৃজনশীল পদ্ধতি চালু হওয়ার পর থেকে মুখস্থবিদ্যার ওপর নির্ভরতা কিছুটা কমেছে। কিন্তু এখনও অনেক শিক্ষার্থী গাইড বই, নোট আর শিটের ওপর নির্ভরশীল। বর্তমানে প্রশ্নফাঁস ও নকলের মতো অনিয়ম কমলেও এখনও পুরোপুরি নির্মূল হয়নি। ডিজিটাল মার্কিং ব্যবস্থা চালু হওয়ায় স্বচ্ছতা বাড়ছে। কিন্তু এখনও অনেক শিক্ষার্থী মানসিক চাপে ভোগে। ফিনল্যান্ডের শিক্ষাব্যবস্থা পৃথিবীর কাছে রোল মডেল। সেখানে এসএসসির মতো কোনো পাবলিক পরীক্ষা নেই। মূল্যায়ন হয় ধারাবাহিকভাবে। শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার চাপে না পড়ে শেখে আনন্দের সঙ্গে। তাদের পাসের হার প্রায় ৯৯ শতাংশ। ফিনল্যান্ডে শিক্ষকতা সবচেয়ে সম্মানিত পেশা। ফিনল্যান্ডে ক্লাসে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা খুব কম। গড়ে ২০ জন। বাংলাদেশে একটি ক্লাসে ৬০-৭০ শিক্ষার্থী থাকে। এত সংখ্যক শিক্ষার্থীকে সঠিকভাবে শেখানো কঠিন। ফিনল্যান্ডের স্কুলগুলোয় বাড়ির কাজ খুব কম দেওয়া হয়। তারা বিশ্বাস করে, শিশুরা খেলাধুলা আর সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে অনেক কিছু শিখতে পারে। বাংলাদেশে এখনও বাড়ির কাজের চাপ অনেক বেশি। অনেক শিক্ষার্থী রাত জেগে লেখাপড়া করে। জাপানের শিক্ষাব্যবস্থা শৃঙ্খলা আর কঠোর পরিশ্রমের ওপর দাঁড়িয়ে। তাদের মাধ্যমিক পরীক্ষা খুব কঠিন। কিন্তু তারা মুখস্থবিদ্যাকে গুরুত্ব না দিয়ে বুঝে পড়ার ওপর জোর দেয়। জাপানে পাসের হার ৯৫ শতাংশের কাছাকাছি। জাপানের স্কুলগুলোয় শিক্ষার্থীরা নিজেরা ক্লাসরুম পরিষ্কার করে। তারা শেখে দায়িত্ববোধ। বাংলাদেশেও কিছু স্কুলে এই চর্চা শুরু হয়েছে। কিন্তু এখনও অনেক অভিভাবক মনে করেন, এগুলো সময়ের অপচয়। জাপানে গ্রুপ স্টাডিকে খুব গুরুত্ব দেয়া হয়। শিক্ষার্থীরা একে অপরকে সাহায্য করে। বাংলাদেশেও গ্রুপ স্টাডির প্রচলন বাড়ছে। কিন্তু কোচিং সেন্টার আর প্রাইভেট টিউটরের চাপে গ্রুপ স্টাডি ঠিকমতো জায়গা পাচ্ছে না। জাপানে স্কুল ইউনিফর্ম, সময়ানুবর্তিতা আর সম্মানকে খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়। বাংলাদেশেও স্কুল ইউনিফর্ম আছে। কিন্তু সময়ানুবর্তিতা আর শৃঙ্খলার অভাব এখনও দৃশ্যমান।
সিঙ্গাপুরের শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিযোগিতামূলক। তাদের মাধ্যমিক পরীক্ষার নাম জিসিই ও-লেভেল। এই পরীক্ষা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। সিঙ্গাপুরে পাসের হার ৯০ শতাংশের বেশি। সিঙ্গাপুরের স্কুলগুলোতে প্রযুক্তির ব্যবহার চোখে পড়ার মতো। প্রতিটি ক্লাসরুমে ইন্টারেক্টিভ বোর্ড ও কম্পিউটার ল্যাব আছে। বাংলাদেশেও ডিজিটাইজেশন হচ্ছে। কিন্তু গ্রামাঞ্চলে ইন্টারনেটের অভাব প্রকট। সিঙ্গাপুরে প্রতিটি স্কুলে লাইব্রেরি ও সায়েন্স ল্যাব আছে। বাংলাদেশেও সরকারি উদ্যোগে ল্যাব বাড়ছে। কিন্তু অনেক স্কুলে ল্যাব আছে, সরঞ্জাম নেই। আবার কিছু স্কুলে সরঞ্জাম আছে, কিন্তু দক্ষ টেকনিশিয়ান নেই। যুক্তরাষ্ট্রে মাধ্যমিক পর্যায়ে এসএসসির মতো কোনো কেন্দ্রীয় পরীক্ষা নেই। সেখানে শিক্ষার্থীদের গ্রেড দেয়া হয় ক্লাস পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে। তাদের পাসের হার প্রায় ৮৫ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীরা নিজের পছন্দমতো বিষয় বেছে নিতে পারে। বাংলাদেশেও বিষয় পছন্দের সুযোগ আছে। কিন্তু চাকরির বাজারের চাহিদা ভাবায় শিক্ষার্থীদের। যুক্তরাষ্ট্রে খেলাধুলা, সংগীত ও আর্টকে সমান গুরুত্ব দেয়া হয়। বাংলাদেশেও এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটি চালু আছে, কিন্তু পরীক্ষার চাপে তা ঠিকমতো গুরুত্ব পায় না। জার্মানিতে মাধ্যমিক শেষে অনেক শিক্ষার্থী ভোকেশনাল ট্রেনিং নেয়। তাদের শিক্ষাব্যবস্থা প্রায়োগিক জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে। জার্মানিতে পাসের হার ৯০ শতাংশের এর কাছাকাছি। জার্মানিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত খুব কম। একটি ক্লাসে গড়ে ১৫-২০ শিক্ষার্থী থাকে। বাংলাদেশে ক্লাসে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। এতে শিক্ষার মান নিশ্চিত করা কঠিন। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর শিক্ষাব্যবস্থা থেকে বাংলাদেশ অনেক কিছু শিখতে পারে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ বাড়াতে হবে। একজন ভালো শিক্ষকই পারেন ভবিষ্যৎ প্রজš§ গড়ে তুলতে। প্রযুক্তিগত ব্যবহার বাড়াতে হবে। প্রতিটি স্কুলে ইন্টারনেট ও কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা সম্ভব হলেই কেবল ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন সফল হবে। ভোকেশনাল শিক্ষা জনপ্রিয় করতে হবে। সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হবে এমন নয়। হাতে-কলমে শিক্ষাও সম্মানজনক। পরীক্ষার চাপ কমাতে হবে। শিক্ষার্থীদের শেখার আনন্দ উপভোগ করতে দিতে হবে। গ্রাম-শহরের বৈষম্য কমাতে হবে। আমরা চাই একদিন বাংলাদেশের প্রতিটি শিশু আনন্দের সঙ্গে শিখবে, পরীক্ষার ভয়ে কাঁপবে না। তারা শিখবে বোঝার জন্য, পাস করার জন্য নয়। সেই দিনের অপেক্ষায় আছি। শিক্ষাই আলো। আর এই আলোয় উদ্ভাসিত হোক বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্ত।
শিক্ষক
ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাইস্কুল
শহীদ সালাহউদ্দিন সেনানিবাস, ঘাটাইল, টাঙ্গাইল