শেয়ার বিজ ডেস্ক: বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনে জাপানকে একটি শক্তিশালী উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। গত ২৭ সেপ্টেম্বর জাপানের টোকিওতে ‘বাংলাদেশে এসডিজির চার বছর’ শীর্ষক এক বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে জাপান সোসাইটি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট, জাপান সিভিল সোসাইটি ওন এসডিজি, জাপান-বাংলাদেশ সোসাইটি ও ইউনিভার্সিটি অব দ্য সেক্রেড হার্টস। অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ ও ছাত্ররা অংশগ্রহণ করেন। জাপান সোসাইটি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (জেএএসআইডি) প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক তাতসুফুমি ইয়ামাগাতা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
জাপানে বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ সাবেক রাষ্ট্রদূত মাতুসিরো হোরিগুচি, অধ্যাপক মাসাকি ওহাসি, ড মায়ুমি মুরাইয়ামা, ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিকস (আইডিই) এবং এনএইচকে ওয়ার্ল্ড-জাপান রেডিওর বাংলাদেশ-বিষয়ক প্রতিনিধি চিকা মুরাকামি-সহ আরও অনেকে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
এ আলোচনায় জাতীয় পরিকল্পনা ও কার্যক্রমের সঙ্গে এসডিজির সমন্বয়সাধন এবং এসডিজির স্থানীয়করণ ও অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সকারের মন্ত্রণালয়গুলোর বিভিন্ন কার্যক্রম ও নেতৃত্বের বিষয়গুলো তুলে ধরেন ড. দেবপ্রিয়। এ সময় তিনি এসডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আর্থিক চ্যালেঞ্জ সমাধানের ওপর মনোনিবেশ করার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন।
ড. দেবপ্রিয় এ সময় উল্লেখ করেন, এককভাবে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ দ্বিপক্ষীয় বৈদেশিক সহায়তার উৎস হিসেবে জাপান বাংলাদেশের অন্যতম ঘনিষ্ঠ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে সহায়তা করে আসছে। জাপানের সহায়তায় বাংলাদেশে ১৭০ কোটি ডলারের উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে। এসবের মধ্যে রয়েছে মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র ও বন্দর প্রকল্প, ম্যাস র?্যাপিড ট্রানজিটের দুটি রুট এবং অসংক্রামক ব্যাধি নিরাময়-সংক্রান্ত প্রকল্পগুলো। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের এসডিজি অর্জনের জন্য সহায়ক হবে।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এবং জাপানের চিত্র আশাব্যঞ্জক নয়। বাংলাদেশে জাপানের সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের হার চার শতাংশেরও কম এবং বাংলাদেশ থেকে জাপানে রফতানির হার তিন শতাংশের কম। জাপানের সঙ্গে আরও জোরালো অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হলে তা বাংলাদেশের এসডিজি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল করবে।
