নিজস্ব প্রতিবেদক ‘এ’ থেকে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে অবনমিত হলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিটি যথাসময়ের মধ্যে ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বিতরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের কোম্পানির শেয়ারের ক্যাটেগরি পরিবর্তন হচ্ছে। গতকাল বুধবার থেকে কোম্পানিটি ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃক জারি করা নিয়ম অনুযায়ী স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোনো সিকিউরিটির ক্যাটেগরি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে পরিবর্তিত ক্যাটেগরিতে ওই সিকিউরিটি ক্রয়ের জন্য মার্জিন ঋণ প্রদানে প্রথম ৩০ দিন নিষেধাজ্ঞা জানানো হয়েছে।
এখানে উল্লেখ্য, কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সুপারিশ করেছিল। কিন্তু যথাসময়ে কোম্পানিটি ওই লভ্যাংশ দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই তাদের শেয়ার ক্যাটেগরি পরিবর্তন করা হলো। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৪৬ পয়সা, আর ২০২৪ সালের ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৭ টাকা ১ পয়সা। এছাড়া আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৭২ পয়সা।
৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরে জন্য ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৬৪ পয়সা। আর ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকা ১১ পয়সা। এছাড়া আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ১৭ পয়সা। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৮৫ পয়সা। আর ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ৭০ পয়সা। এছাড়া আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৮ টাকা ৫১ পয়সা। আর ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরেও পাঁচ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস দিয়েছে।
এদিকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৪) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আইটি খাতের কোম্পানি আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেডের। কোম্পানিটির অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৯ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭৬ পয়সা। অর্থাৎ শুধু দ্বিতীয় প্রান্তিকের হিসাবে ইপিএস কমেছে ৪৭ পয়সা। অন্যদিকে প্রথম দুই প্রান্তিকে বা প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২৪) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৬৩ পয়সা, আগের বছরের একই সময় ছিল ১ টাকা ৫৮ পয়সা। অর্থাৎ প্রথমার্ধে বা প্রথম দুই প্রান্তিকে ইপিএস কমেছে ৯৫ পয়সা। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ৬৪ পয়সা। এছাড়া প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৬২ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৫ পয়সা।
২০১৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ৯২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভে আছে ১৩৬ কোটি ৮ লাখ টাকা। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানিটির মোট ৯ কোটি ২৯ লাখ ৭৯ হাজার ৯১২টি শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির মোট শেয়ারের ৩৩ দশমিক শূন্য চার শতাংশ উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে, ২১ দশমিক ৫০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক, ৪৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে।