নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের অন্যতম ইলেকট্রনিকস সামগ্রী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) লটারির তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। কোম্পানিটি পূর্বনির্ধারিত ৩ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে লটারির ড্র অনুষ্ঠান করবে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য কোম্পানিটি ৩ সেপ্টেম্বর আইপিও লটারির ড্র অনুষ্ঠান করার জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আবেদন করেছিল। বিএসইসি ৬ সেপ্টেম্বর লটারির ড্র অনুষ্ঠান করার অনুমতি দিয়েছে।
পুঁজিবাজারে তালিকার্ভুক্তির জন্য এর আগে গত ৯ থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত কোম্পানির আইপিও আবেদন গ্রহণ চলে। এর ফলে গত ২৩ জুন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দিয়েছে।
বুক বিল্ডিং পদ্ধতির মাধ্যমে আইপিওতে কোম্পানিটি ২৯ লাখ ২৮ হাজার ৩৪৩টি শেয়ার ইস্যু করবে। এর মধ্যে ১৩ লাখ ৭৯ হাজার ৩৬৭টি শেয়ার নিলামে সফল ও যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রি করা হয়। বাকি ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ৯৭৬টি শেয়ার বিক্রি করা হবে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।
নিলামে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণে ওয়ালটনের শেয়ারের কাট-অফ মূল্য বা প্রান্তসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১৫ টাকা। বিদ্যমান আইন অনুসারে, এই প্রান্তসীমা থেকে কমপক্ষে ১০ শতাংশ কমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করতে হয়। তবে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ ২০ শতাংশ ছাড়ে এই শেয়ার ইস্যু করবে। তাতে আর ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতি শেয়ারের জন্য প্রস্তাবিত দর দর দাঁড়াচ্ছে ২৫২ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে আইপিওর মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করার লক্ষ্য রয়েছে ওয়ালটনের। আয় করা এই অর্থ কোম্পানির ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ ও আইপিওর ব্যয় মেটাতে কাজে লাগানো হবে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে গত ৩০ জুন, ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছর শেষে পুনর্মূল্যায়নজনিত সঞ্চিতিসহ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য বা এনএভিপিএস ছিল ২৪৩ টাকা ১৬ পয়সা। আর পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতি ছাড়া শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য ছিল ১৩৮ টাকা ৫৩ পয়সা। সর্বশেষ পাঁচ অর্থবছরে কোম্পানিটির ভারিত গড় হিসাবে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ২৮ টাকা ৪২ পয়সা।
পুঁজিবাজারে আসতে কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।