সাপ্তাহিক বাজার

ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের শেয়ারদর ৪৪ শতাংশ বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৪৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ বা ৮০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৯ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ৯ টাকা ২০ পয়সা। দিনজুড়ে ১১ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫৮টি শেয়ার ৩৩০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৯ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়। তবে গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৫ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সবর্ােচ্চ ১৭ টাকা ৪০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপউয়ার্ড লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ৩০ জুন, ২০২৪ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২৪ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৪৯ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৩৮ পয়সা। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৬ পয়সা (লোকসান)। ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল ১৮ টাকা ৮৮ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৭৮ পয়সা। এর আগের হিসাববছর অর্থাৎ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিল ৫ পয়সা (লোকসান)। ২০২২ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল ২১ টাকা ৮ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছিল ৪৪ পয়সা।

কোম্পানিটি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানিটির ৬০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৩৫ কোটি ২০ লাখ ৪০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৫৯ কোটি ৭ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট ২৩ কোটি ৫২ লাখ তিন হাজার ৭৬৯ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক শূন্য এক শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ এবং বাকি ৫৪ দশমিক ৩১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।

এদিকে সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির তালিকায় এর পরের অবস্থানে থাকা খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের ২৯ দশমিক ১১ শতাংশ, ইয়াকিন পলিমার লিমিটেডের ১৯ দশমিক ০৫ শতাংশ, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার লিমিটেডের ১৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ, রূপালী ব্যাংক পিএলসির ১৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ, হামি স্টিলস লিমিটেডের ১২ দশমিক ৯০ শতাংশ, শার্প ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ১২ দশমিক ২২ শতাংশ, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেডের ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং ওয়ান ব্যাংক পিএলসির ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।