নিজস্ব প্রতিবেদক: সুলভ মূল্যে ওষুধপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে দেশেই সব ধরনের ওষুধের কাঁচামাল তৈরির প্রস্তাব দেবে কমিশন। এতে থাকছে জোরালো নীতি সহায়তা ও প্রণোদনা সুপারিশ।
স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের প্রধান জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান জানান, ওষুধের ৯৫ শতাংশ কাঁচামাল আমদানিনির্ভর। হাতেগোনা কয়েকটি দেশ এই কাঁচামাল উৎপাদন করে থাকে। দেশীয় ব্যবস্থাপনায় কাঁচামাল তৈরি করতে পারলে ওষুধশিল্প আরও সমৃদ্ধ হবে। এমনকি উৎপাদিত কাঁচামাল বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব। সংস্কার কমিশন দেশীয় ব্যবস্থাপনায় কাঁচামাল তৈরিতে সুপারিশ করবে।
রাজধানীর দারুস্ সালামে অবস্থিত বিআইএইচএস জেনারেল হাসপাতালে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের প্রধান জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খানের সঙ্গে বাংলাদেশ এপিআই অ্যান্ড ইন্টারমিডিয়ারিস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএআইএমএ) এক বৈঠকে গতকাল জানান
সংশ্লিষ্টরা।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য বেসিক কেমিক্যাল লিমিটেডের এম জামাল উদ্দিন, সোডিক্যাল মেডিকেলের এমডি নিজাম উদ্দিন আহমেদ, নিপ কেমিক্যালস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালসের এমডি মাহবুবুর রহমান
পাটোয়ারী, ওয়ার্ল্ড এপিআই কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির প্লান্ট ডিরেক্টর জাকির হোসেন, ডায়াবেটিকস সায়েন্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান এমএ মাহমুদ প্রমুখ।
বৈঠকে বিআইএমএর সভাপতি এসএম সাইফুর রহমান বলেন, ভারত, চীন, সিঙ্গাপুর ওষুধে কাঁচামাল শিল্পকে প্রসারে ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা দিয়েছে। পাশাপাশি নমুনা পরীক্ষা ও অনুমোদনপ্রক্রিয়া সহজ করেছে। আমাদেরও এমন নীতিসহায়তা প্রয়োজন। এ সময় ব্যবসায়ীদের পক্ষে থেকে তিনি স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন প্রধানের কাছে ৯ দফা প্রস্তাব দেন।
প্রস্তাবগুলো হলোÑওষুধের কাঁচামাল উৎপাদন ও গবেষণায় এবং মানবসম্পদ উন্নয়নে প্রণোদনা দিতে হবে। দেশীয়ভাবে ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদনে গ্যাস ও বিদ্যুতে ভর্তুকি ব্যবস্থা করতে হবে। যেসব ওষুধের কাঁচামাল দেশে তৈরির সক্ষমতা রয়েছে সেসব কাঁচামাল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পাশাপাশি নিবন্ধন ও অনুমোদন সহজীকরণ করতে হবে। স্থায়ীভাবে উৎপাদিত কাঁচামাল যারা ক্রয় করবে, তাদের ভ্যাট মওকুফ সুবিধা দিতে হবে। ওষুধ প্রশাসনের ব্লক লিস্ট কমিটিতে বিএআইএমএ প্রতিনিধি নিশ্চিত করতে হবে।