Print Date & Time : 2 September 2025 Tuesday 12:31 am

কক্সবাজারে নারী পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: হোটেল ম্যানেজার আটক

প্রতিনিধি, কক্সবাজার: ঢাকা থেকে কক্সবাজার ঘুরতেে আসা নারী পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় রিয়াজ উদ্দিন ছোটন (৩৩) নামের এক যুবককে আটক করেছে র‌্যাব। আটককৃত ছোটন জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ব্যবস্থাপক।

 বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় র‍্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।

র‍্যাব জানায়, হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দুইজনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন, কক্সবাজার শহরের মধ্যম বাহারছড়া এলাকার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে আশিকুল ইসলাম (২৩) ও মোহাম্মদ শফিক ওরফে গুন্ডা শফির ছেলে ইসরাফিল হুদা জয়।

ফুটেজে থাকা আরেক যুবকের পরিচয় জানাতে পারেনি র‌্যাব। তবে স্থানীয়রা জানায়, ফুটেজে থাকা অপর যুবক আবুল কাসেমের ছেলে মেহেদী হাসান বাবু ওরফে গুন্ডায়া বাবু।

এই ফুটেজ থেকে দু’জনকে শনাক্তের পর ওই নারীকে তাদের ছবি দেখানো হয়। তিনি তাদের চিনতে পেরেছেন। শনাক্ত হওয়া দুই যুবককে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানায় র‌্যাব।

ভুক্তভোগী নারী জানান, তিনি স্বামী ও আট মাসের সন্তানসহ বুধবার বিকেলে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে যান। সেখানে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগলে কথা-কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার সন্তান ও স্বামীকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। এ সময় আরেকটি অটোরিকশায় তাকে তুলে নেয় তিন যুবক। একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে তাকে ধর্ষণ করে।

এরপর তাকে জিয়া গেস্ট ইন নামের একটি হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তারা তাকে আবার ধর্ষণ করা হয়। ঘটনা কাউকে জানালে স্বামী-সন্তানকে হত্যার হুমকি দিয়ে তাকে ঘরে বন্ধ করে চলে যায়। পরে তিনি জানালা দিয়ে এক যুবকের সাহায্য নিয়ে নিজেকে উদ্ধার করেন। র‍্যাবের সহায়তায় তার স্বামী-সন্তানকে পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর জিয়া গেস্ট ইনের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে র‍্যাব।

এতে দেখা যায়, তিন যুবক অটোরিকশায় এক নারীকে নিয়ে আসেন। দুজন ওই নারীর সঙ্গে থাকেন। আরেকজন হোটেলের রুম বুকিং দেন। সে সময় রিসিপশনে হোটেলের ব্যবস্থাপক ছোটন ছিলেন। এরপর তিন যুবক ওই নারীকে নিয়ে ওপরে চলে যান। রাত সাড়ে ১০টার দিকে যুবকরা বেরিয়ে গেলেও ওই নারীকে নামতে দেখা যায়নি।

কক্সবাজার র‍্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের কঠোর শাস্তি পেতে হবে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। ওই নারী মামলা করবেন। মামলার প্রক্রিয়া চলছে।’